জুমবাংলা ডেস্ক: দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের প্রাণনগর গ্রামে প্রথমবারের মতো হলুদ ফুলকপি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষক শামিম ইসলাম।
তিনি বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সবজি চাষ করে থাকেন। এ বছর নতুন জাতের রঙ্গিন ফুলকপি চাষ করেছেন। ফলনও হয়েছে আশানুরুপ। চলতি বছর রবি মৌসুমে ৩০ শতক জমিতে নতুন জাতের হলুদ ফুলকপি চাষ করেছেন। পেয়েছেন সফলতা।
কৃষক শামিম জানান, টেলিভিশনে রঙ্গিন কপির ছবি দেখে তা চাষের প্রতি আমার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। এ জন্য তিনি বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে বীজ ও বিভিন্ন ধরনের সার নিয়ে কেরটিনা জাতের হলুদ ফুলকপির বীজ গ্রহণ করি। ৩০ শতক চাষ যোগ্য করে ওই জমিতে বীজ রোপণ করি। এসব বীজের চারাসহ ব্রকলি, ফুলকপির চারা করে ওই জমিতে রোপণ করেন। ক্ষেতে কোনো প্রকার কীটনাশক ও সার প্রয়োগ না করে কেবল জৈব সার ব্যবহার করেছেন। চারা রোপণের ৭০ থেকে ৭৫ দিনের মধ্যেই গাছে ফুল আসা শুরু করে। বর্তমানে তিনি এসব কপি বিক্রি করতে শুরু করছেন। বাজারে ক্রেতাদের রঙ্গিন কপির প্রতি বেশ আগ্রহ থাকায় দাম ভালো পাচ্ছেন।
শামিম আরও জানান, বাজারে সাধারণ ফুলকপি ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর হলুদ ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। বাজারে নেয়া মাত্রই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এসব রঙ্গিন কপি। তার জমি থেকে এক লাখ টাকা রঙ্গিন কপি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। তিনি অল্প জমিতে চার রঙ্গের ফুলকপি চাষ করে দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন।
শামিম ইসলামের এমন সফলতায় অনেকেই রঙ্গিন কপি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। নিয়মিত পরিচর্যা এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রথমবারেই পেয়ে যান সফলতা।
তার ক্ষেতে বিদেশি জাতের হলুদ ফুলকপি দেখতে ভিড় করছেন এলাকার উৎসক লোকজন। কেউ নিচ্ছেন চাষের পরামর্শ।
বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, হলুদ ফুলকপি ভেষজগুণ সম্পন্ন একটি সবজি। স্বাদে ভালো। সাধারণ ফুলকপির তুলনায় রঙ্গিন ফুলকপিতে ২৫ শতাংশের বেশি ক্যারোটিন রয়েছে। যা ত্বক ও চোখকে ভালো রাখে। এটি কোলাজেন ধ্বংস করে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের সহায়তায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বীরগঞ্জ উপজেলায় ৩০ শতক জমিতে , রঙ্গিন ফুলকপি,আবাদ প্রদর্শনী কৃষককে প্রদান করা হয়েছে। রঙ্গিন ফুলকপিতে সাদা ফুলকপির তুলনায় অধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে। রঙ্গিন ফুলকপির বাজার মূল্য সাদা ফুলকপির তুলনায় অনেক বেশি। রঙ্গিন ফুলকপির আবাদ সম্প্রসারিত হলে কৃষকরা নিঃসন্দেহে লাভবান হবেন।
আগামী বছর অনেকে রঙ্গিন ফুল কপি চাষ করবেন বলে তিনি জানান।
প্রতিনিয়ত পরিদর্শনে আসেন দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ আবুরেজা মোঃ আসাদুজ্জামান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।