
জুমবাংলা ডেস্ক : প্রায় ছয় মাস আগে ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরপর ঢালাইয়ের ওপর স্থাপন করা হয় রুফ টাইলস। এখনো ভবন হস্তান্তর করা হয়নি। এর আগেই কাজ সম্পন্ন হওয়া ছাদ চুইয়ে পড়ছে বৃষ্টির পানি। চুইয়ে পড়া জায়গা স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে গেছে। কিছু স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে এগুলো ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এই চিত্র মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার নারীশিক্ষা একাডেমি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের চার তলা নতুন ভবনের।
ভবন নির্মাণে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠেছে। অথচ বিদ্যালয়ের নতুন এই ভবন নির্মাণে সরকারের ব্যয় হচ্ছে ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। বড় ধরনের অনিয়ম না হলে ঢালাই ও রুফ টাইসল ভেদ করে বৃষ্টির পানি চুইয়ে পড়ার কথা নয়। এমনটি বলছেন নারীশিক্ষা একাডেমি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তারা জানিয়েছেন, ঢালাই ও রুফ টাইলস স্থাপনের কাজ শেষে পানি চুইয়ে পড়ার বিষয়টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নজরে আনলেও তারা আমলে নেয়নি।
গতকাল সোমবার (১২ অক্টোবর) বিকালে সরেজমিনে চতুর্থ তলা ওই ভবনের বারান্দাসহ প্রতিটি কক্ষের বিভিন্ন স্থানে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ার চিহ্ন দেখা গেছে। পানি পড়ার জায়গাগুলো স্যাঁতসেঁতে হয়ে গেছে। ছাদের ভেতরের দিকে কিছু জায়গায় ফাটল ছিল। এগুলো সিমেন্ট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। যাতে ফাটলগুলো দেখা না যায়।
নারীশিক্ষা একাডেমি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ভবনের কাজে ঠিকাদার নিম্নমানের রড নিয়ে আসলে আমরা আপত্তি করায় তা একবার সরিয়ে নেন। নিম্নমানের কংক্রিটও ব্যবহার করেন। আপত্তির মুখে কিছু সরিয়ে নেন ঠিকাদারের লোকজন। ছাদ ঢালাই ও টাইলস ফিটিংয়ের পর ছাদ চুইয়ে পানি পড়তে থাকে। ঢালাই সম্পন্নের প্রায় ৬ মাস হয়ে গেছে। আমরা ঠিকাদারকে জানালেও এটা ঠিক হয়ে যাবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। কিন্তু কোনো সংশোধন করেনি। বৃষ্টি দিলেই পানি চুইয়ে পড়ে। পানি পড়ার চিহ্ন স্পষ্ট বোঝা যায়।
আলাপকালে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পরিচালক রুসমত আলম সোমবার (১২ অক্টোবর) বিকালে বলেন, ভবনে কি সমস্যা হয়েছে আমি দেখিনি। কাজ করলে কিছু ভুল হয়ে যায়। তারপরও যদি সমস্যা দেখা দেয়, তা ঠিক করে দেব।
এ ব্যাপারে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন বলেন, ঢালাইয়ের আগে রডসহ সব কিছু চেক করে দেওয়া হয়েছে। ঢালাইয়ের সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু পানি চুইয়ে পড়েছে এটা আমাকে প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ অবগত করেন নাই। এরপরও যদি ত্রুটি ধরা পড়ে অবশ্যই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় কাজ সঠিকভাবে করে দিতে হবে। ত্রুটিগুলো সংশোধন না করলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে পরবর্তী কোনোরকম বিল দেব না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।