হাইড্রোজেনের একটি আইসোটোপের নিউক্লিয়াস শুধু প্রোটন দিয়েই তৈরি, যা প্রকৃতিতে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। প্রোটন ধনাত্মক। এর সঙ্গে ইলেকট্রন ঋনাত্মক হওয়ায় এদের তীব্র আকর্ষণে আর পরমাণুটি থাকার কথা নয়। যদি এই হাইড্রোজেন অণুকে ভেঙে পরমাণুতে আনা হয়, তাহলে এর অস্তিত্ব থাকবে কি?
তোমার প্রশ্নের উত্তর দিতে একটু ভাবতে হয়। কারণ প্রোটন ধনাত্মক ও ইলেকট্রন ঋণাত্মক চার্জযুক্ত হওয়ার ফলে একে অপরকে আকর্ষণ করারই কথা এবং এর ফলে পরমাণুটিরই থাকার কথা নয়।
এটা শুধু হাইড্রোজেন কেন, অন্য সব মৌলিক পদার্থের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। অথচ আমরা তো দেখছি পরমাণু ভেঙেচুরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে না। তাহলে পদার্থের অস্তিত্ব কীভাবে টিকে থাকছে? প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। এর উত্তর জানার জন্য তোমরা বিজ্ঞানচিন্তা, আগস্ট ২০১৯ সংখ্যায় আমার লেখা কার্যকারণ পড়বে। সেখানে এর রহস্য লিখেছি।
আসল কথা হলো একে অপরকে আকর্ষণ করলেও ইলেকট্রনের নিজস্ব পার্শ্বগতির কারণে সে নিউক্লিয়াসের চারপাশের মেঘাচ্ছন্ন অস্বচ্ছ পরিমণ্ডলে (ক্লাউড) চলতে চায়। অন্যদিকে নিউক্লিয়াস তাকে আকর্ষণ করে। এই দুই শক্তির ফলাফল হিসাবে ইলেকট্রন প্রোটনের চারপাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘোরে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।