জুমবাংলা ডেস্ক : স্বামীর অপেক্ষায় ছিলেন নববধূ ডলি। শেষ কথা হয়েছে ভোররাতে মোবাইল ফোনে। স্বামী বলেছিলেন, ‘তিন ঘণ্টা পর দেখা হবে, তুমি ঘুমাও।’ কিন্তু না দেখা করে চিরনিদ্রায় স্বামী নাছির উদ্দীন পলাশ।
তিন ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ার পর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত স্বামীর মৃতদেহ নিতে এসেছেন ডলি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ঘটনাস্থলেই পাঁচ যাত্রী নিহত হন। তাদের মধ্যে একজন নাছির উদ্দীন পলাশ।
শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ৭টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার বসন্তপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পলাশ এবং ডলির সংসার শুরু হয়েছে মাত্র ১৭ দিন। এরই মধ্যে একটি ঘাতক বাস শেষ করে দিল এক নবদম্পতির সংসার। নববধূ ডলি আক্তারের বাড়ি চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া। আর নিহত নাছির উদ্দীন পলাশের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিলে। পলাশ ছিলেন পাইপ ফিল্টারের ঠিকাদার।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন পলাশ। স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে ভাইকে নিয়ে চৌদ্দগ্রামে ছুটে এসেছেন ডলি। স্বামীর মরদেহ দেখেই হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
কান্নারত অবস্থায় ডলি বলেন, ‘আমার সব শেষ হয়ে গেল।’
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রবিউল হাসান বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১০ জনকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারজনকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ এস এম লোকমান হোসাইন বলেন, ‘ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী রিলাক্স পরিবহনের ডাবল ডেকার বাসটি সকাল ৭টায় মহাসড়কের বসন্তপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত নিহত তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন।’-কালের কন্ঠ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।