জুমবাংলা ডেস্ক : গাইবান্ধায় যৌতুকের মামলা থেকে রক্ষা পেতে হাওয়াই মিঠাইয়ের ভেতর ইয়াবা দিয়ে স্ত্রীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। আজ রবিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বামীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন শামছুন্নাহার বেগম তারা নামের এক নারী।
শামছুন্নাহার সদর উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের নশরতপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ২০১৮ সালের ২ মে পারিবারিকভাবে গাইবান্ধা পৌর এলাকার পলাশপাড়ার বাবু মিয়ার ছেলে জিহাদুল ইসলাম জনির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়েতে যৌতুক নেওয়ার শর্ত ছিল না। অথচ বিয়ের পর চার লাখ টাকা যৌতুকের দাবি করেন জনি।
শামছুন্নাহার বেগম জানান, যৌতুক না পেলে তার সঙ্গে সংসার করতে অস্বীকৃতি জানায় জনি। পারিবারিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় আদালতে মামলা করেন তিনি। মামলা দায়ের করার পর তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন নানাভাবে হুমকি দেয়। একপর্যায়ে তার বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়।
এ নিয়ে শামছুন্নাহারের মা সদর থানায় একটি জিডি করেন। বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় ওই বছরের ১৬ জুলাই স্বামী জনির বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুকের মামলা করেন শামছুন্নাহার। ওই মামলা থেকে রক্ষা পেতে তার স্বামী হাওয়াই মিঠাইয়ের ভেতর ইয়াবা দিয়ে তাকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়েছে বলে সংবাদ দাবি করেন।
তিনি জানান, মামলা মীমাংসার কথা বলে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জনি তাকে গাইবান্ধা শহরের পৌরপার্কে ডেকে নেয়। সেখানে হাওয়াই মিঠাইয়ের ভেতর ইয়াবা রেখে শামছুন্নাহার বেগমের হাতে ধরিয়ে দিয়ে সটকে পড়েন। পরে ডিবি পুলিশ তাকে ৩ পিস ইয়াবাসহ আটক করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মাদক মামলায় তিনি একমাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান।
শামছুন্নাহার বেগম জানান, স্বামী জনি, প্রথম স্ত্রী মনীষা বেগম, তার বোন হাসনা বেগম ও তার স্বামী মিলন মিয়া এবং শ্যালক পিন্টু মিয়া মিলে তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে শামছুন্নাহার বেগম তারার মা নুরজাহান বেগম উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।