আপনি কি ভেবে দেখেছেন যে ছোটখাটো পোড়া সারানোর সবচেয়ে কার্যকর প্রতিকার কী হতে পারে? রান্না করার সময় বা অতিরিক্ত গরম কোনো খাবার খেতে গিয়ে হাত ফসকে এমনটা ঘটতেই পারে। পোড়ার ধরন গুরুত হলে অবিলম্বে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, তবে ছোটখাটো পোড়া বাড়িতেই কার্যকরভাবে চিকিৎসা করা যায়। তবে এক্ষেত্রে সঠিক উপায় জেনে নেওয়া প্রয়োজন। নয়তো পোড়া না সেরে সেখানে ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া উপায়-
ঠান্ডা পানি ব্যবহার
আপনার নেওয়া প্রথম পদক্ষেপটি হলো পুড়ে যাওয়া জায়গাটিকে ঠান্ডা প্রবাহিত পানির নিচে আলতো করে ধরে রাখা। ২০১৬ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, প্রথম বা দ্বিতীয়-ডিগ্রি পোড়াতে ২০ মিনিটের জন্য ঠান্ডা পানি প্রয়োগ করলে তা পোড়া উপশম করতে, ত্বককে শীতল করতে এবং অতিরিক্ত ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। ঠান্ডা পানি ত্বকের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে, যা টিস্যুর ক্ষতি কমায়। এটি ব্যথা উপশম করে এবং রক্তনালীগুলোকে সংকুচিত করে ফোলা কমায়। তবে পোড়া জায়গায় সরাসরি বরফ প্রয়োগ করা এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি ত্বকের আরও ক্ষতি করতে পারে।
অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করে আক্রান্ত স্থানকে প্রশমিত করতে পারেন। এতে এমন যৌগ রয়েছে যা প্রদাহ কমায়, ত্বক মেরামতে সাহায্য করে এবং শীতল অনুভূতি দেয়। অ্যালোভেরাতেও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
মধু
২০১৮ সালের একটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে পোড়া স্থানে মধু প্রয়োগ করলে তা কিছু ক্লিনিকাল সুবিধা দিতে পারে। পোড়া জায়গায় মধু ছড়িয়ে একটি জীবাণুমুক্ত ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে দিন। মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট হিসাবে কাজ করে এবং পোড়ার উপর একটি প্রতিরক্ষামূলক বাধা তৈরি করে। এর আর্দ্রতা-ধারণকারী বৈশিষ্ট্য ক্ষতকে হাইড্রেটেড রাখে, যা দ্রুত নিরাময় করে এবং ব্যথা কমায়। ড্রেসিং পরিবর্তন করতে ভুলবেন না এবং দিনে দুইবার মধু পুনরায় প্রয়োগ করুন।
নারিকেল তেল
কোথাও পুড়ে গেলে তাতে সঙ্গে সঙ্গে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। নারিকেল তেলে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এতে ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা ত্বককে প্রশমিত করতে, প্রদাহ কমাতে এবং নিরাময়কে উন্নীত করতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে এটি একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর গঠন করে যা আক্রান্ত স্থান আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
আপেল সাইডার ভিনেগার
আপেল সাইডার ভিনেগারে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা পোড়া স্থান পরিষ্কার এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটি নিরাময় দ্রুততর করে এবং এর অ্যাসিটিক অ্যাসিড সামগ্রীর কারণে ব্যথা কমায়। আপেল সাইডার ভিনেগার সমপরিমাণ পানি দিয়ে পাতলা করুন এবং একটি তুলোর বল ব্যবহার করে আক্রান্ত স্থানে লাগান। বাতাসে শুকাতে দিন।
টি ব্যাগ
একটি টি ব্যাগ ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে ১০-১৫ মিনিটের জন্য পোড়া জায়গায় রাখতে পারেন। এতে রয়েছে ট্যানিন, যা ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। শীতল টি ব্যাগ প্রশান্তিদায়ক অনুভূতি দেয়। টি ব্যাগটি আক্রান্ত স্থানে লাগানোর আগে আপনার খেয়াল করুন সেটি পরিষ্কার এবং ঠান্ডা কি না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।