প্রাণীজগতের এমন কিছু প্রাণী রয়েছে যাদের মধ্যে অভিনব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। যেমন হাতি। জল গোয়েন্দা বলা যেতে পারে এ প্রাণীকে। এরকম আরও কিছু প্রাণী হলো এপ, কুমির ও ডলফিন। আজ এসব প্রাণীর অবাক করে দেওয়ার মত অভিনব বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করা হবে।
প্রাণিজগতের মধ্যে পানির উৎসব বের করার জন্য হাতিকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কয়েক মাইল দূর হতে হাতি তা টের পেয়ে যায়। বৃষ্টি হলে ফ্রিকোয়েন্সি বুঝে হাতি সেদিকে চলাচল করতে পারে। হাতি কখনো ঘামে না। তার বিশাল দুটি কান এবং লোম এর মাধ্যমে তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
হাতির লোম শরীরের ভেতরের গরমকে বাইরে বের করে দেয়। হাতির দুটি বিশাল কানের মধ্যে রক্তনালিকা থাকে যা দেহের তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। সবথেকে মজার ব্যাপার হলো হাতির কান দুটিকে আপনি ফ্যানের সাথে তুলনা করতে পারেন। এ কান দুটিকে যখন নাড়ানো হয় হাতি তখন আরাম অনুভব করে।
এপ জাতীয় প্রাণী বলতে শিম্পাঞ্জি বা গরিলাকে বোঝানো হয়। বানরের সাথে এদের পার্থক্য হল লেজ থাকে না। দুই হাত ব্যবহার করে খাবার প্রসেস করা আমাদের জন্য খুব স্বাভাবিক মনে হলেও এটি করার জন্য জটিল মস্তিষ্কের প্রয়োজন এবং এটি এ জাতীয় প্রাণীর রয়েছে। তারা দুই হাত ব্যবহার করে দুই রকমের কাজ করতে সক্ষম।
কুমিরের চোয়াল এতটা শক্তিশালী যে অন্য কোন প্রাণীর সঙ্গে তুলনা সম্ভব নয়। অনেক শক্তি ব্যবহার করে কুমির শিকারকে ঘায়েল করতে পারে। চোখের পলক ফেলার ছয় গুণ দ্রুত গতিতে কুমির চোয়াল খুলতে পারে এবং বন্ধ করতে পারে। কুমিরের চোয়াল ভীষণ সংবেদনশীল। পানের নিচে কুমির তার কান এবং নাকের ছিদ্র বন্ধ রাখতে পারে। কুমিরের পাকস্থলী পাথর হজম করতে সক্ষম।
ডলফিনকে দেখতে সাধারণ জলজ প্রাণীর মতো মনে হলেও তারা তুখোড় বুদ্ধিমান। তারা দলবেঁধে সফলভাবে শিকার করে। ডলফিনের মস্তিষ্কের সেরেবাল cortex অনেক উন্নত। দূর থেকে শিকারকে বুঝতে পারা, পরিকল্পনা করা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের মত জটিল কাজ করতে পারে। ডলফিন একসাথে অনেক মাছের ঝাঁক শিকার করতে সক্ষম। শিকার করার জন্য ডলফিনের রয়েছে অভিনব কৌশল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।