নাসা জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের মাধ্যমে যে চিত্রগুলি প্রকাশ করেছে তাতে অনেক বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে যা সত্যি বিস্ময়কর। কেননা এতটা বিশদ বিবরণ এর আগে কখনো পাওয়া যায়নি।
১৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের নির্মাণ এখন পুরোপুরি নাসার জন্য সার্থক হয়েছে। আগে যখন হাবল টেলিস্কোপ দ্বারা চিত্র ধারণ করা হতো তখন এতটা জটিল এবং বিশদ বিবরণ ছিল না।
এই পার্থক্যের আরেকটি কারণ হচ্ছে দুইটি টেলিস্কোপের মধ্যে আয়নার পার্থক্য রয়েছে এবং সক্ষমতার পার্থক্য রয়েছে। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের এর আয়না হাবল টেলিস্কোপের থেকে প্রায় তিন গুন বড়। জেমসের ইনফ্রারেড বর্ণালীর মাধ্যমে মহাবিশ্বের ছবি তুলতে সক্ষম। যেখানে হাবল টেলিস্কোপ দৃশ্যমান এবং অতিবেগুনি রশনির মাধ্যমে ছবি তুলতে সক্ষম হতো।
হাবল টেলিস্কোপের আরেকটি দুর্বলতা হচ্ছে এটি পৃথিবীর কাছাকাছি কক্ষপথে অবস্থান করে কাজ করতো। যার ফলে অনেক দূরে এবং গভীরে গিয়ে তথ্য অনুসন্ধান করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ পৃথিবী থেকে অনেক দূরে ভ্রমণ করেছে এবং অনেক গভীরে গিয়ে বিশদ তথ্য অনুসন্ধান করেছে।
Carina Nebula
কেরিনা নেবুলার চিত্র এটি। ছবিতে পাহাড় এবং উপত্যকা দেখা যাচ্ছে যা ৭ হাজার ৬০০ আলোকবর্ষ থেকে দূরে। ডানের চিত্রটি জেমস টেলিস্কপে উঠানো হয়েছে ও অনেক বেশি তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়েছে।
Stephan’s Quintet
এই ক্লাসটার ১৮৭৭ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল। ডানে জেমস ওয়েবের চিত্রতে পাঁচটি গ্যালাক্সির ছবি ব্ল্যাক হোলসহ তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু আবল টেলিস্কোপের ছবিটি দেখতে অনেক বেশি অন্ধকার।
Southern Ring Nebula
হাবল টেলিস্কোপের চিত্র থেকে ওয়েব টেলিস্কোপ এর চিত্রে অনেক বেশি তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। নীহারিকা ধূলিকণা নির্গত গ্যাস সহ পুরো প্রক্রিয়াটি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের মাধ্যমে মানবজাতি মহাবিশ্বকে নতুন করে জানবে
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ এর নতুন ছবি: ধুলা ও আলোর স্তর দ্বারা আবৃত মৃত নক্ষত্র
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।