স্পোর্টস ডেস্ক: কেপাটাউন টেস্ট চার দিনের মাঝেই ৭ উইকেটে হেরে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকায় আবারও টেস্ট সিরিজ খুঁইয়েছে ভারত। দ্বিতীয় টেস্টের পরে তৃতীয় টেস্টেও একই ভাবে হারতে হয়েছে কোহলিদের। চতুর্থ ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের দাপট দেখেছে কেপটাউনের গ্যালারি। হারার আগে কোহলিরা যে মনোভাব দেখিয়েছেন তার সমালোচনা করলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার।
টেস্টের চতুর্থ দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যাওয়ার সময় ৪১ রান দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। বিরতির পর ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৮ ওভার ৩ বলে সেই রান তুলে নেয় তারা। বিরতির পরে ভারতের তিন প্রধান বোলার যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ শামি ও শার্দুল ঠাকুরকে ব্যবহার করেননি অধিনায়ক কোহলি। তাতেই চটেছেন গাভাস্কার। যদিও তিনি বলেছেন, কেপটাউনের উইকেটে ব্যাট করা খুব একটা সহজ ছিল না।
ম্যাচ শেষে গাভাস্কার বলেন, ‘মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরে কেন শার্দুল, বুমরাহদের বল দেওয়া হল না সেটা আমার কাছে রহস্য। দেখে মনে হচ্ছিল ভারত যেন মেনেই নিয়েছে তারা আর জিততে পারবে না। তাই কোনও চেষ্টাই করেনি। অশ্বিনের জন্য ফিল্ডিং সাজানো ঠিক হয়নি। বাউন্ডারিতে পাঁচ ফিল্ডার। অনায়াসে ১-২ রান হচ্ছে। ব্যাটাররা যদি ঝুঁকিই না নেয় তা হলে তাদের কীভাবে আউট করা যাবে।’
গাভাস্কার আরও বলেছেন যে ব্যাট হাতে ভারতের পারফরম্যান্স হতাশাজনক ছিল এবং সফরকারী দলের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে অপরাজিত টেস্ট সিরিজ শেষ করার দুর্দান্ত সুযোগ ছিল।
তিনি বলেন, “এটা এমন একটা জিনিস যা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য খুবই ভালো। কিন্তু ভারত কতদূর উদ্বিগ্ন, তা বোঝা কঠিন। প্রথম টেস্টে তারা যেভাবে আধিপত্য বিস্তার করেছিল, আমি সত্যিই ভেবেছিলাম সে সিরিজ জিততে পারবে। আমি ৩-০ তে সিরিজ জয়ের কথা ভাবছিলাম, দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের দুর্বলতার কারণে, নর্টজে খেলতে পারছিল না। এটা আবার ভারতের জন্য একটি বিশাল প্লাস ছিল। আপনার দুইজন অনভিজ্ঞ বোলার আছে, তাদের অলিভিয়ার ছিল যে ফিরে আসছিল। রাবাদা সত্যিই একমাত্র হুমকি ছিল এবং আমি ভেবেছিলাম ভারতীয় ব্যাটিং ভালো হবে। হ্যাঁ, পিচ টেস্টিং ছিল কিন্তু আমি ভেবেছিলাম ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের খুব একটা সমস্যা হবে না। জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার পারফরম্যান্স প্রশংসার দাবিদার। এটা দলের চরিত্র বলে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।