জুমবাংলা ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে এসেও পালিয়ে গেলেন রোগী। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ঘুরে ফিরে তাকে ফের হাসপাতালেই আসতে হলো পুলিশের সঙ্গে।
রাজধানী ঢাকা থেকে চাঁদপুরে ফেরা এক করোনা রোগীকে নিয়েই এই কাণ্ড ঘটেছে।
অসুস্থতা নিয়েই এই রোগী প্রথমে জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গ্রামের বাড়িতে আশ্রয় নেন। এসময় এলাকায় করোনা রোগী এসেছে, এমন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের মানুষের অনুরোধে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য স্থাপিত আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হতে যান তিনি। কিন্তু কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে সেখান থেকে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে গাঢাকা দেন। পরে আশ্রয় নেন তার পাশের গ্রামের একটি বাগানে।
তাকে খুঁজে না পাওয়ায় এলাকায় হইচই পড়ে যায়। পরে রোগীর মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান নিশ্চিত হয় পুলিশ। এরপর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালেই পাঠিয়ে দেয়া হয়।
রবিববার রাত সাড়ে ১০টায় থেকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল লাগোয়া সেই আইসোলেশন ওয়ার্ডে নিরাপদে আছেন ওই রোগী। এমন তথ্য জানিয়েছেন, চাঁদপুরে করোনাবিষয়ক ফোকালপার্সন ডা. সুজাউদৌলা রুবেল। তিনি আরো জানান, রোগীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার মগবাজার এলাকায় মুদি দোকানি ছিলেন ৩৫ বছরের এই ব্যক্তি। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পোঁয়া গ্রামে। শরীরে সর্দি, জ্বর ও কাশি দেখা দিলে তিনি নিজেই গত কয়েকদিন আগে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করান। এতে তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এই অবস্থায় ঢাকা থেকে রোববার দুপুরে পালিয়ে গ্রামে ফিরেন তিনি। এলাকার করোনা রোগী এসেছে- এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে স্বজন এবং গ্রামবাসীর অনুরোধে রোগী নিজেই চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হতে আসেন। কিন্তু হঠাৎ কি মনে করে ওয়ার্ডের স্টাফদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দ্রুত গা ঢাকা দেন তিনি।
রবিবার বিকালে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনার খবর জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমানকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়।
পুলিশ সুপারের নির্দেশে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রকিব রোগীর মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান নিশ্চিত হন। পরে পিপিই সজ্জিত পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম একটি এম্বুলেন্স নিয়ে উপজেলার চরবড়ালি গ্রামের একটি বাগান থেকে রোগীকে উদ্ধার করে চাঁদপুরে প্রেরণ করে পুলিশ।
রাতেই এই রোগীকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এই বিষয় করোনাবিষয়ক ফোকালপার্সন ডা. সুজাউদৌলা রুবেল জানান, করোনা পজিটিভ হলেও রোগীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে তার মধ্যে নানা ধরণের আতঙ্ক দেখা দেওয়ায় ভর্তি হতে এসেও পরে গা ঢাকা দেওয়ার কথা জানান।
অন্যদিকে, আর যেনো নতুন করে কোনো রোগী চিকিৎসা নিতে এসে এমন কাণ্ড না ঘটায় সেই বিষয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন ও জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই জন্য জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের সহযোগিতার কথা জানান। সূত্র: সময় নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।