জুমবাংলা ডেস্ক : করোনার এই সময়ে অন্য কোনো রোগ যেন অভিশাপ। উপসর্গ থাকা রোগীদেরই করোনা টেস্ট ও রিপোর্ট পাওয়া যখন বিলম্বিত হচ্ছে, তখন নেগেটিভ সনদ ছাড়া অনেক হাসপাতালে অন্য রোগিদের ভর্তির সুযোগ নেই। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লক্ষণ না থাকলে অন্য রোগীদের করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক না। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নীতিমালা মেনে চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ তাদের।
ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর কেমোথেরাপির সিডিউল ছিলো ২ এপ্রিল। কিন্তু সময়মতো বাধ সাধলেন চিকিৎসক। সাফ কথা, করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া হাসপাতালেই ভর্তির সুযোগ নেই।
রোগীর ছেলে বলছেন, আমার মা ক্যানসার পেশেন্ট হওয়া সত্তেও তাঁকে কেমো দিতে পারছি না কারণ চিকিৎসক এবং হাসপাতাল চাচ্ছে যে তাঁদের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দরকার।
কেমোথেরাপি যখন রোগীর বাঁচা-মরার প্রশ্ন, তখন চিকিৎসকের শর্ত পূরণে ছুটতে হলো করোনা পরীক্ষার ল্যাবে। ততোদিনে অবশ্য পেরিয়ে গেছে তিন সপ্তাহ।
দীর্ঘদিনের কিডনী রোগী রেজওয়ান উল্লাহর ডায়ালাইসিস দরকার হয় সপ্তাহে দুবার। কিন্তু রোগ-চিকিৎসক আলাদা হলেও শর্ত অভিন্ন। যে হাসপাতালে তার নিয়মিত ডায়ালাইসিস হয় তাদের চাওয়া করোনা নেগেটিভ সনদ।
করোনাকালের এমন সংকটে করোনা ছাড়া অন্য কোনো রোগও যেন অভিশাপ। চিকিৎসা চাইলে জটিলতা। আবার শর্ত পূরণের পথও বেশ কঠিন। উপসর্গ থাকা রোগীদেরই যেখানে করোনা টেস্ট করে কুলানো যাচ্ছে না, সেখানে অন্য চিকিৎসার জন্য করোনা টেস্টের দাবি খানিকটা বিলাসী ভাবনাই বটে।
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিনের মতে, লক্ষণ ও উপসর্গ না থাকলে অন্য রোগীদের করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক না। স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আন্তর্জাতিক নীতিমালা মেনে চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ তার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।