যশোরের অভয়নগর উপজেলায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুজন শেখ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন স্ত্রী তমা বেগমের (২৩) বাবা জলিল শেখ। সুজনকে খুঁজছে পুলিশ।
গতকাল রোববার গভীররাতে উপজেলার বুইকরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তমার বাবা জলিল শেখ উপজেলার কোটা গ্রামের বাসিন্দা। সুজনের বাবা মিজানুর রহমান শেখ। তারা উপজেলার কাদিরপাড়া গ্রামে বসবাস করেন।
জলিল শেখের অভিযোগ, গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুজন তার মেয়েকে হত্যার পর ফ্যানে ওড়না বেঁধে তাতে পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। তারপর ঘরের বাইরে এসে প্রতিবেশীদের ডেকে লাশ নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখানে তমার মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
তমার বাবা জানান, গত বছর সুজনের সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দেন তিনি। বিয়ের পর থেকে তমাকে নির্যাতন শুরু করেন সুজন। গত তিন মাস ধরে তমাকে নিয়ে সুজন উপজেলার বুইকরা গ্রামের হাসপাতাল রোডে বাসাভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। এরমধ্যে তমা গর্ভবতীয় হয়ে পড়ে। মৃত্যুর সময় তিনি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
সুজন যে বাড়িতে বসবাস করতেন তার পাশের ঘরের থাকেন মো. মারুফুজ্জামান। তিনি জানান, সুজন তার স্ত্রীকে দিনের পর দিন মারধর করেছেন। গতকাল রাত ১২টার দিকে সুজন তাদের ডেকে জানান তার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়েছেন। তারা সুজনের ঘরে গিয়ে তমার লাশ নামিয়ে হাসপাতালে নেন। এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যায়নি।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামিম হাসান বলেন, নিহতের বাবা আত্মহত্যার প্ররোচনায় সুজন শেখের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। লাশ আজ হাসপাতাল থেকে উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।