বলা হয়ে থাকে হিটলারের মৃত্যু নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছিল। তার মৃত্যু ছিল যথেষ্ট রহস্যে ঘেরা। ১৯৪৫ সালে বিবিসিতে হঠাৎ করে খবর আসে যে হিটলার আর জীবিত নেই। এ খবর ছড়িয়ে দেওয়ার পর বিশ্বজুড়ে জনগণ স্বস্তি প্রকাশ করেছিল।
বিশ্বযুদ্ধের শেষ সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন এর সেনারা জার্মানির গভীরে প্রবেশ করতে শুরু করে। যদিও হিটলারের মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা বলেছিলেন, আশাহত হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি। বার্লিন ঘিরে ফেলার পর হিটলার আরো বিপদে পড়ে যান।
মুসোলিনির হত্যাকাণ্ডের পর হিটলার নিজের অনিবার্য পরিণতি বুঝতে পারেন। মৃত্যুর আগে শেষ সময়ে তিনি নিজের ঘরে প্রবেশ করার পূর্বে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথে শেষ দেখা করে নেন। তার কক্ষের ভেতর থেকে বন্দুকের গুলির শব্দ পাওয়া যায়। পরে ভেতরে ঢুকে দেখা যায় যে তার পুরো শরীর রক্তাক্ত ছিল।
তিনি মারা যাওয়ার পর জার্মান সেনারা তার বডি পুড়িয়ে ফেলে। পরবর্তী সময়ে ইনভেস্টিগেশনের মাধ্যমে ডিএনএ টেস্ট করার পরও তার দাঁত এবং মাথার খুলি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।
তারপর হিটলারের মৃত্যু নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়ে। এরকম একটি থিওরি হচ্ছে হিটলার জার্মানির পরাজয়ের পর সাবমেরিনে করে আর্জেন্টিনা চলে যান। অন্য আরেকটি থিওরিতে বলা হয় যে, তিনি এর্ন্টারটিকায় নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন।
১৯৪৫ সালে রেডিওতে হিটলারের মৃত্যুর কারণ স্পষ্টভাবে বলা হয়নি। তিনি যুদ্ধ করতে করতে মারা গেছেন এরকমটাও ছড়ানো হয়েছিল। সম্ভবত নাৎসী বাহিনী নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতেই নিজেদের নেতার বডিকে পুড়িয়ে ফেলেছিলেন।
পরে গবেষণায় দেখা যায় যে, হিটলার বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেকে হত্যা করেছিলেন । তবে তার মাথার খুলিতে গুলির মাধ্যমে মৃত্যুর প্রমাণ মিলেছিল। ধারণা করা হচ্ছে যে, তিনি বিষ পান করেছিলেন এবং এরপরে নিজেকে গুলি করেছিলেন। গবেষণায় আরো দেখা যায় যে, তিনি সায়ানাইড নামে মারাত্মক বিষ গ্রহণ করার কারণে তার দাঁত নীলাভ বর্ণের হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।