জুমবাংলা ডেস্ক : প্রায় দুই বছর ধরে কূটনৈতিক জটিলতায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের হিমঘরে পড়ে আছে দুই ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ। দীর্ঘ সময় ধরে মরদেহগুলো সংরক্ষণে বিপাকে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দুই বছরে মরদেহগুলো সংরক্ষণে সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ২৩ লাখ টাকা। যা রাষ্ট্রের টাকার অপচয় বলছে সচেতন মহল।
জানা যায়, অনুপ্রবেশের দায়ে ২০২২ সালের ১৮ মে বাবুল সিং ও ৮ অক্টোবর সতেন্দ্র কুমারকে পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা থেকে আটক করে জাজিরা ও পদ্মা দক্ষিণ থানা পুলিশ। পরে তাদের পাঠানো হয় শরীয়তপুর জেলা কারাগারে। সেখানে অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা। এরপর থেকেই তাদের মরদেহ হাসপাতালের ফ্রিজে বন্দি।
মর্গের দায়িত্বে থাকা স্টাফরা জানায়, লাশগুলে দীর্ঘদিন এখানে পড়ে থাকায় সাধারণ পাবলিকের লাশ রাখা যায় না। তারা আরও জানায়, ভারতীয় হাইকমিশনে সঙ্গে কথা বলে এ দুইটা লাশ সৎকার করা যেতে পারে। এতে হাসপাতালের অর্থনৈতিক ক্ষতি কমে আসবে।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. হাবিবুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ দুইটি লাশ হাসপাতালের মর্গে থাকায় এখানে অন্যান্য লাশ রাখতে অসুবিধা হয়।
প্রসঙ্গত, গত দুই বছরে অনুপ্রবেশের দায়ে পদ্মা সেতুর আশেপাশে এলাকা থেকে ২২ ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।