নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : আলুর বাজারে কয়েক দফা মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে চলমান অস্থিরতা ঠেকাতে সম্প্রতি পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে রাজশাহীর পবা উপজেলায় বিভিন্ন হিমাগারে নির্ধারিত সময়ের পরও মজুতকৃত আলু ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ন্যায্য মূল্যে খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়েছে।
৩০ নভেম্বরের পর হিমাগারে আলু রাখা যাবে না- এই সরকারি আদেশ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে আজ (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পবা উপজেলার আমান ও রহমান হিমাগারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদ হাসান। এতে পবা থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন।
অভিযানে উপজেলার আমান কোল্ডস্টোরেজে ৪৫২ বস্তা ও রহমান কোল্ডস্টোরেজে ১৫০৫ বস্তা আলু ন্যায্য মূল্যে বিক্রির জন্য জব্দ করা হয়েছে। উপস্থিত ক্রেতাদের উপস্থিতিতে খোলা বাজারে ডাকের মাধ্যমে প্রতি কেজি আলু ৩৯ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করা হয়, যা ভোক্তাদের মাঝে খুচরা দরে প্রতি কেজি আলু ৪৫ টাকা দরে বিক্রি করা হবে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মজুতদারেরা আলু সংগ্রহ করে হিমাগারে রাখেন। ওই সময় তাদের আলুর ক্রয়মূল্য কেজি প্রতি ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা। কোল্ড স্টোরেজে রাখার খরচ ৬০ কেজির বস্তাপ্রতি অঞ্চলভেদে ১৮০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা। কিন্তু কতিপয় মজুতদার, ব্যাপারী, ফড়িয়া (অধিকাংশ ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্সবিহীন) এবং সংশ্লিষ্ট হিমাগারের ম্যানেজার/মালিক যোগসাজশে অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিকভাবে মূল্য বাড়িয়ে আড়তদারদের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে প্রতি কেজি আলু খুচরা পর্যায়ে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি করছে। শুধু রাজশাহী জেলাতেই ৪৩টি কোল্ডস্টোরেজ আছে। এতে সংরক্ষণ বা মজুত করা হয় প্রায় ৮৫ লাখ বস্তা আলু। আর প্রতি বস্তায় ৬৫ কেজি আলু থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।