আমেরিকা জনপ্রিয় স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানি হুয়াওয়ে এর উপর কঠিন নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর নিজেদের সাব-ব্র্যান্ড Honor কে ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছিল। যদিও এখনো তারা কিছু বিষয়ে একসাথে কাজ করছে এবং বাজারে চমৎকার স্মার্টফোন নিয়ে আসছে।
ইউরোপে Honor ব্র্যান্ডের প্রেসিডেন্ট টনি রান জানান কোম্পানিটি ভবিষ্যতের জন্য সুন্দর পরিকল্পনা করছে। স্মার্টফোনের সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়ার এর ক্ষেত্রে নয়া ইনোভেশন নিয়ে আসতে তারা বদ্ধপরিকর।
Honor ব্র্যান্ড এখন ব্যবসা, আইনি ইস্যু এবং টেকনিক্যাল বিষয় সবকিছু নিয়েই চিন্তা করছে। পাশাপাশি স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম নিয়েও তারা কাজ করছে।
Honor ব্র্যান্ড হুয়াওয়ে এর সাথে সাত বছর কাজ করার পর যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে সেখান থেকে তারা শিক্ষা গ্রহণ করতে আগ্রহী এবং তাদের সামনে পথ চলার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। হার্ডওয়ার এবং সফটওয়্যার এর ক্ষেত্রে নতুন ডিজাইন নিয়ে আসার চেষ্টা করছে Honor।
প্রেসিডেন্ট টনি আরো জানান Honor আস্তে আস্তে পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে এবং হুয়াওয়ে থেকে ইউনিক কিছু করে দেখাবার ইচ্ছা পোষণ করে। কোম্পানির লক্ষ্য হচ্ছে কাস্টমারদের ভালো পণ্য উপহার দেওয়া।
আমেরিকার কঠিন বিধি-নিষেধ সত্ত্বেও হুয়াওয়ে বছরে দুটি স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে আসতে বদ্ধপরিকর। ইউরোপের বাজারে Homor তাদের অবস্থান শক্ত করতে চায়।
হুয়াওয়ে Honor কে ছেড়ে দেওয়ার পর এই সাব-ব্র্যান্ড শুরুতে একটু দুর্বল অবস্থানে থাকলেও এখন তারা হুয়াওয়েকে ছাপিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আত্নবিশ্বাসী।
Honor ব্র্যান্ড আশা করছে যে তারা রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট সেকশনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। ডিজাইন, ফটোগ্রাফি থেকে শুরু করে সবকিছুতে তারা আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে।
Honor ব্র্যান্ড বর্তমানে ম্যাজিক অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করা নিয়ে কাজ করছে। তারা এই সিস্টেম সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা রাখে না এবং একই সাথে ইউরোপের বাজারে ফোল্ডেবল স্মার্টফোন নিয়ে আসতে আগ্রহী তারা।
Honor ব্র্যান্ডের জন্য বর্তমানে সবকিছুই নতুন অভিজ্ঞতা। প্রযুক্তিপ্রেমীরা আশা করছে যে, হুয়াওয়ে এর ছায়া থেকে তারা বের হয়ে স্মার্টফোন জগতে নয়া ইনোভেশন নিয়ে আসতে সক্ষম হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।