জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে হেরে গেলেন সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বী আলোচিত সেই ‘বউ-শাশুড়ি’। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহিনুর আকতার শানুর কাছে পরাজিত হন শাশুড়ি খোদেজা বেগম (জবা ফুল) ও ছেলের বউ রেবেকা সুলতানা লিমা (চশমা)।
বগুড়া জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, গত রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৪ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে শাহিনুর আকতার শানু (দ্বিতল বাস) চার হাজার ২৭৪ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর খোদেজা বেগম পেয়েছেন তিন হাজার ৪৫৬ ভোট ও তার বউমা রেবেকা সুলতানা লিমা পেয়েছেন দুই হাজার ২০০ ভোট।
এর আগে খোদেজা বেগম বিএনপি দলীয় সমর্থন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পরপর তিনবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এবারের নির্বাচনে তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ছেলের বউ লিমা। ভোটের আগে খোদেজা মজা করে বলেছিলেন, জনগণ চশমা পরে কেন্দ্র গিয়ে জবা ফুলে ভোট দেবেন। এছাড়া তার ভোট কমবে না।
আর বউমা লিমা বলতেন, শাশুড়ির কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি ভোট করবেন। তবে নির্বাচনে পরাজয়ের পর খোদেজা ও পরিবারের সদস্যরা বউমা লিমাকে দায়ী করছেন। লিমা প্রার্থী না হলে ওই দুই হাজার ২০০ ভোট শাশুড়ির ঝুলিতে পড়তো। আর তিনি চতুর্থবারের মত কাউন্সিলর হতেন।
এলাকাবাসী ও স্বজনরা জানান, বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া দক্ষিণপাড়ার মৃত আশরাফ আলীর স্ত্রী খোদেজা বেগম বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি বগুড়া পৌরসভার ৪ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (১০, ১১ ও ১২ ওয়ার্ড) পরপর তিনবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তার বড় ছেলে আলমগীর হাসান। তিনি যুবদলের কর্মী ও বগুড়া জেলা ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। মায়ের বিরুদ্ধে স্ত্রী রেবেকা সুলতানাকে তিনিই প্রার্থী করেন।
আলমগীর হাসান বলেন, ‘বয়স হওয়ায় মাকে এবার প্রার্থী না হবার কথা বলেছিলাম। তিনি লিমাকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেনের চাপে মা আবারও প্রার্থী হন।’
এ প্রসঙ্গে খোদেজা বেগমের ছোট ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘তার মায়ের জনপ্রিয়তা অটুট ছিল। কিন্তু ভাবি লিমা প্রার্থী হওয়ায় ভোট ভাগাভাগি হয়ে মা (খোদেজা) পরাজিত হলেন।’
এলাকার ভোটার মোশাররফ হোসেন ও হোসনে আরা বলেন, ‘খোদেজা তাদের প্রিয় কাউন্সিলর ছিলেন। এবার বউ প্রার্থী হওয়ায় ভোট ভাগ হয়ে গেছে। ফলে দুজনকে পরাজিত হতে হয়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।