‘হেরেছি, তবু হাল ছাড়িনি’, আত্মহত্যা রুখতে শপথ

জুমবাংলা ডেস্ক : আত্মহত্যা নামক সামাজিক ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে ও আত্মহত্যার প্রবণতা রুখতে শনিবার রাজধানীর রাজু ভাস্কর্যের সামনে শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতীকী শপথ করেছে বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশন। সংগঠনসংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবক ও শিক্ষার্থীরা এই প্রতীকী শপথ গ্রহণ করেন।

হতাশামুক্ত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গঠনের লক্ষ্যে এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আঁচল ফাউন্ডেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তাদের হাতে ‘হেরেছি, তবে হাল ছাড়িনি’, ‘ক্ষুদ্র হতে পারি, তুচ্ছ নয়’ এমন অনেক ফেস্টুন দেখা যায়।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস আমানুল্লাহ, আঁচল ফাউন্ডেশনের জেনারেল সেক্রেটারি সামিরা আক্তার সিয়াম, অপারেশনাল সেক্রেটারি জিনাতুল জাহরা ঐশী প্রমুখ।

শপথ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের চেয়ারম্যান শান্তা তাওহীদা বলেন, ‘প্রতিটি মানুষেরই শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। মনের যত্ন নেওয়ার বিকল্প নেই। এই কাজটি আমাদেরই করার কথা ছিল, কিন্তু আমাদের সমাজের তরুণরা এর গুরুত্ব উপলব্ধি করে এই উদ্যোগটি গ্রহণ করেছে। এ ধরনের গবেষণা এবং উদ্যোগ আরো বেশি বেশি নেওয়া উচিত। ‘

তিনি আরো বলেন, ‌‌’এখানে উপস্থিত ৫০ জন তরুণ আজ যদি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হয় তবে তার সাথে সচেতন হবে ৫০টি পরিবার। এভাবেই সবাই যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে আঁচল ফাউন্ডেশনের মতো পদক্ষেপ নেয় তাহলে আমরা একটি সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে সক্ষম হব। সবাই মিলে আত্মহত্যাবিহীন সমাজ গড়ে তুলতে পারব। ‘

আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ বলেন, ‘আমরা দেখছি আত্মহত্যার হার ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলছে। এর কারণ, করোনার প্রভাবের পাশাপাশি আমাদের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন হওয়ায় মানুষের মাঝে বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন সমস্যা তৈরি হয়েছে। এর ফলেই আত্মহত্যার সংখ্যায় এই পরিবর্তন হয়েছে। ‘

আত্মহত্যা রোধে তরুণদেরও ভূমিকা পালন করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‌‌’সারা দেশের শিক্ষার্থী ও তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন করার জন্যই আজকে আমাদের এই উদ্যোগ। প্রতীকী শপথগ্রহণের মাধ্যমে সেই বার্তাটাই সবার দুয়ারে ছড়িয়ে দিতে চাই। ‘
এর আগে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় একটি সচেতনতামূলক র‌্যালি করে। আয়োজকরা বলছেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা আত্মহত্যার প্রতি শূন্য সহনশীলতা দেখিয়ে আত্মহত্যা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখাই এই র‌্যালির মূল বার্তা।