বর্তমান সময়ে কেউ আর অমরত্বে বিশ্বাস করে না। যখন করোনা এল, তখন আমরা কেউ বুঝতে পারছিলাম না যে ওটা কী। এরপর হঠাৎ দেখলাম, এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়াতে ছড়াতে বাংলাদেশে চলে এল। কয়েক দিনের মধ্যে সব বন্ধ হতে শুরু করল।
কোটি কোটি মানুষ মারা গেল। আমাদের কী আক্রমণ করছে, তা বুঝতেই অনেক দিন লেগে গেল। ফলে মহামারি কোন দিক থেকে যে আসবে, তা আমরা জানি না। তাই অমরত্বের বিষয়টি আমি বিশ্বাস করি না। তবে হয়তো আর্টিফিশিয়াল হার্ট (কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড) বা এমন কৃত্রিম অঙ্গের সাহায্যে একজন মানুষকে খুব সুন্দরভাবে বাঁচিয়ে রাখা যাবে। বাড়ানো যাবে মানুষের আয়ু। অমরত্ব পর্যন্ত এখনো ভাবতে পারছি না।
আমরা নিজেদের যত স্মার্ট ভাবি, আসলে কি আমরা ততটা স্মার্ট? করোনার কথা চিন্তা করলে সেটা আরেকটু ভালোভাবে বুঝতে পারি। ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস কিন্তু আমাদের ভাবনার চেয়ে বেশি স্মার্ট। ওরা যে কীভাবে আমাদের কখন আক্রমণ করবে, তা আগেভাগে বলা খুব মুশকিল।
আরেকটা বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের গড় আয়ু বেশি। কারণ, তাঁরা সচেতন। এটা শুধু অর্থনৈতিক ব্যাপার নয়। বাংলাদেশের মানুষ খুব বিপদে না পড়া পর্যন্ত ডাক্তারের কাছে যান না। তাঁরা অপেক্ষা করেন কখন বড় কিছু হবে, তারপর ডাক্তারের কাছে যাবেন।
আমাদের নিয়মিত ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেকআপ করা দরকার। এটা যে প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করার মতোই সাধারণ ঘটনা, তা আমরা বুঝতে চাই না। এটাকে সাধারণভাবে দেখলে এমনিতেই গড় আয়ু বাড়বে। এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তির চেয়ে মানুষের সচেতনতার ভূমিকা বেশি।
দেশের গবেষণার মান এখন অনেক ভালো হয়েছে এবং বেড়েছে। গবেষণাগুলো মূলত পাবলিক হেলথের মধ্যে আছে। যেমন কোনো একটা রোগ আগের চেয়ে কতটা বেড়েছে। কত ভাগ রোগী একটা নির্দিষ্ট রোগ নিয়ে এসেছেন এবং কত ভাগ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, এগুলো নিয়ে গবেষণা অনেক বেড়েছে। তবে ল্যাবে রিসার্চের সংখ্যা অনেক কম। আমার ধারণা, এটার নির্দিষ্ট কারণ আছে। যেমন যন্ত্রপাতি তৈরি নেই, হয়তো অভিজ্ঞ লোকও কম। মূল কথা, আমাদের গবেষণাগুলোর বেশির ভাগ জরিপধর্মী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।