স্পোর্টস ডেস্ক : হঠাৎ করেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অনির্দিষ্টকাল ক্রিকেট থেকে দূরে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অ্যালেক্স হেলস। তবে এক সপ্তাহের ভেতরেই আবার ক্রিকেটে ফেরার দিনক্ষণও জানান। কিন্তু তারপরেই ড্রাগ ব্যবহারের দায়ে বহিষ্কৃত হয়েছেন বিশ্বকাপ দল থেকে। ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগানের মতে দলের আস্থা ভেঙেছেন হেলস।
ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের ছুটি নেয়া হেলস ক্রিকেটে ফেরার পরদিনই জানা যায়, আমোদের সময় ড্রাগ গ্রহণ করে ডোপ টেস্টে ইতিবাচক হয়েছেন তিনি যার ফলে ভোগ করছেন ২১ দিনের নিষেধাজ্ঞা।
বিশ্বকাপের ঠিক আগে এই ওপেনারের এমন কান্ডে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইংল্যান্ড। দলটির অধিনায়ক ইয়ন মরগান জানান, হেলসের এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরেই দলের ৬ জন সিনিয়র ক্রিকেটারকে নিয়ে আলোচনার বসেছিলেন তিনি।
মরগান বলেন,‘আমি এই বিষয়ে কোচের সাথে গভীর আলোচনা করেছি। আমি সকল সিনিয়র ক্রিকেটারদের সাথেও আলোচনা করেছি। আসলে আমিই তাদের আলোচনার জন্য ডেকেছিলাম। এটা দলের সদস্য ও দলের সংস্কৃতিতে কেমন প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে আলোচনা করেছি। গত দেড় বছর ধরে আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি দলটাকে উচ্চমানের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।’
মরগানের মতে হেলস যেটা করেছে সেটা দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা। সতীর্থদের আস্থা ভঙ্গ করা হেলসকে বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তটাকে সমর্থন করছেন তিনি। যদিও বিশ্বকাপ শুরুর আগেই হেলসের ২১ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়ে যাবে।
হেলসের ভাষায়, ‘নিশ্চিতভাবেই অ্যালেক্স তার সম্মান হারিয়েছে। দলের আস্থাও ভেঙেছেন তিনি। এই অবস্থায় তাকে দল থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তটাকেও সবাই সমর্থন করছে।’
বেন স্টোকসের সাথে বিতর্কের জন্ম দিয়ে এর আগেও একবার নিষিদ্ধ হয়েছিলেন হেলস। একইসাথে তাকে গুনতে হয়েছিল সাড়ে ১৭ হাজার পাউন্ডের মত বড় অঙ্কের জরিমানা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।