স্পোর্টস ডেস্ক: মাঠের মধ্যে নানা ঘটনায় বিতর্কিত লুইস সুয়ারেজ। জাতীয় দল কিংবা ক্লাবের জার্সিতে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের কামড়ে দেওয়া, বর্ণবাদী গালাগালি করে আলোচিত তিনি। তবে আফ্রিকানদের কাছে সুয়ারেজ একজন ‘শয়তান’। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ঘানার নিশ্চিত গোল ঠেকান হাত দিয়ে। ম্যাচটি টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নেয় দলটি। ১২ বছর পর আবারও গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি উরুগুয়ে ও ঘানা। ফিরে আসছে ওই হ্যান্ডবলের ঘটনা, কিন্তু তার জন্য ক্ষমা চাইতে নারাজ উরুগুয়ের স্ট্রাইকার।
জোহানেসবার্গে ঘানার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল, অতিরিক্ত সময় শেষ হওয়ার পথে স্কোর ১-১। ডোমিনিক আদিয়িহা লক্ষ্যে হেড করলেন। একদম ফাঁকা পোস্ট, সুয়ারেজ হাত দিয়ে বল ফিরিয়ে দিলেন। দেখলেন লাল কার্ড। ঘানা পেনাল্টি পেয়েছিল, আসামোয়াহ গায়ান স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ। পেনাল্টিতে ৪-২ গোলে জিতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে উরুগুয়ে।
বিশ্বকাপ ইতিহাসে অন্যতম বিতর্কিত ঘটনা এটি। প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে ঘানার সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ হাতছাড়া হয়। আরেকবার সুয়ারেজ ঘানার সামনে। এবার কি প্রতিশোধ নিতে পারবে আফ্রিকান দেশটি? শুক্রবার আল জানোব স্টেডিয়ামে দুই দেশ মুখোমুখি হচ্ছে। ‘এইচ’ গ্রুপ থেকে নকআউটে যেতে হলে জিততেই হবে উরুগুয়েকে।
এই ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে ঘানার এক সাংবাদিক সুয়ারেজকে জানান, ঘানায় তিনি শয়তান হিসেবে পরিচিত এবং আগামীকালই তার অবসর চান। ৩৫ বছর বয়সী উরুগুয়ান স্ট্রাইকার বলেন, ২০১০ সালের ম্যাচটি ঘানা জিততে না পারার অপরাধ তার নয়।
দোহায় সংবাদ সম্মেলনে সুয়ারেজ বলেন, ‘আমি ওটা নিয়ে ক্ষমা চাইবো না। আমি হ্যান্ডবল করেছিলাম, কিন্তু ঘানা খেলোয়াড় পেনাল্টি মিস করেছিল, আমি না। আমি ক্ষমা চাইতে পারতাম যদি ট্যাকল করে কাউকে ইনজুরিতে ফেলতাম এবং লাল কার্ড পেতাম। কিন্তু ওই পরিস্থিতিতে আমি লাল কার্ড দেখেছিলাম, কিন্তু রেফারি তো পেনাল্টি দিয়েছিল।’
সুয়ারেজ আরও বলতে থাকলেন, ‘এটা আমার অপরাধ নয়, আমি পেনাল্টি মিস করিনি। যে খেলোয়াড় পেনাল্টি মিস করেছিল, সেই বলেছিল ওই পরিস্থিতিতে সেও একই (আমি যা করেছিলাম) কাজ করতো। এই পরিস্থিতিতে এটা আমার দায়িত্ব নয়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।