স্পোর্টস ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন, উপমহাদেশের বড় বড় দলগুলো যেখানে নাকানি-চুবানি খায়। সেখানে ইতিহাস গড়ে জিতলো বাংলাদেশ দল। মাউন্ট মুঙ্গানুইয়ের বে ওভালে সিরিজের প্রথম টেস্টে দাপট দেখিয়ে খেলে ৮ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এটি নিউজিল্যান্ডের মাটিতে যেকোনো ফরম্যাটে প্রথম জয় টাইগারদের।
ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো মহাপরাক্রমশালী দলকে টেস্টে হারানোর রেকর্ড আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে জয়ের কৃতিত্বও আছে। শততম টেস্টে লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জয়ও ছোটখাট সাফল্য নয়।
এর বাইরে ৯৭’র আইসিসি ট্রফি জয়, ৯৯’র বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানো, ২০০৫ সালে কার্ডিফে অসিদের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়, ২০০৭’র বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় জয়, ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট জয় ও সবশেষ যুবাদের বিশ্বকাপ জয়ও অনেক বড় ঘটনা।
কিন্তু বুধবার মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারানো কি তার চেয়েও বড়? বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে যার প্রায় ২ যুগের সম্পৃক্ততা, সেই পাকিস্তানের সঙ্গে বিশ্বকাপের ম্যাচে জয়ের নায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রায় পাঁচ দিন পূর্ণ আধিপত্য বিস্তার করে চমৎকার টিম পারফরম্যান্সে পাওয়া জয়টিই সবচেয়ে বড় সাফল্য, সেরা জয়।
আপনিতো দেশের ক্রিকেটের সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পৃক্ত। অনেক সাফল্য-ব্যর্থতার স্বাক্ষী। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে এ জয়কে কোথায় রাখতে চান? মুঠোফোনে মাউন্ট মঙ্গানুই থেকে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদের সোজা সাপটা উচ্চারণ, ‘এ জয়কে অবশ্যই এক নম্বরে রাখবো আমি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এখনও স্বপ্নের মত মনে হচ্ছে। খুব ভালো অবস্থায় ছিলাম না আমরা। যদিও ভিন্ন ফরম্যাট, তবু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে পাকিস্তানের সঙ্গেও বাজে ক্রিকেট খেলে এসেছি। সেখান থেকে যে ইউ টার্ন নিয়েছে ছেলেরা, এক কথায় অবিশ্বাস্য।’
‘তাই আমি সব বিচার-বিবেচনা করে এ জয়কেই এক নম্বরে রাখছি। আরও একটি জয়কে স্মরণ করছি। সেটি হলো যুব দলের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবার ম্যাচটি। ভারতীয় যুব দলকে হারিয়ে বিশ্বসেরা হয়েছিল আমাদের যুবারা। সেটাও অনেক বড় অর্জন, বিশাল সম্মান ও গর্বের।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।