Meizu একটি জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড। তারা মাঝখানে স্থবির হয়ে পড়েছিল। ব্র্যান্ডটির স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও তারা আবার পুনরুজ্জীবিত হওয়ার চেষ্টা করছে। এজন্য দেড় বছর পর তারা ফ্লাগশিপ স্মার্টফোন বাজার নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে।
এর আগে কোম্পানিটি Meizu ১৮এক্স, ১৮এস, ও ১৮এস প্রো তিনটি স্মার্টফোন ২০২১ সালে রিলিজ করেছিল। কোম্পানি এখন Meizu 20, Meizu 20 Pro, এবং Meizu 20 Infinity স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে আসতে যাচ্ছে।
পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক ফ্লাইং ১০ ইউজার ইন্টারফেস তাদের স্মার্টফোনে ব্যবহার করা যাবে। Meizu এর তিনটি ডিভাইসে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন এর মত শক্তিশালী প্রসেসর ব্যবহার করা হবে।
তাছাড়া Meizu 20 Pro এবং Infinity হ্যান্ডসেটের পেছনে তিনটি ক্যামেরা লেন্স বসানো থাকবে। বাজারে আসতে যাওয়া প্রত্যেকটি ডিভাইসে ৩২ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা ইন্সটল করা থাকবে।
স্মার্টফোনটির ইনফিনিটি মডেলে পাতলা বেজেল রয়েছে। আপনি সামনের দিকে ক্যামেরা হোল দেখতে পারবেন। আল্ট্রাসোনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার এর ফিচারও দেওয়া হয়েছে।
ভ্যানিলা মডেল এ 6.55 ইঞ্চি এর ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে। এটি একটি ফুল এইচডি প্লাস ও এলইডি প্যানেলের ডিসপ্লে। Meizu এর প্রো মডেলের হ্যান্ডসেটে ৬.৮১ ইঞ্চির কিউএউচডি প্লাস ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ইনফিনিটি মডেলে ৬.৭ ইঞ্চি এর কিউএউচডি প্লাস ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে। তিনটি ডিভাইসে ১২ জিবি র্যাম ইনস্টল করার থাকবে। Meizu 20 এবং Meizu 20 Pro স্মার্টফোনে যথাক্রমে ১২৮ জিবি এবং ২৫৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ দেওয়া থাকবে। ইনফিনিটি মডেলে ২৫৬ জিবি এবং ৫১২ জিবি স্টোরেজের দুইটি ভ্যারিয়েন্ট অ্যাভেলেবল থাকবে।
Meizu এর তিনটি স্মার্টফোনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা দেওয়া থাকবে। তবে প্রো মডেলে আপনি ৫০ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা পেয়ে যাবেন। অন্যদিকে ইনফিনিটি মডেলে ১২ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা এবং ১২ মেগাপিক্সেল টেলিফটো ক্যামেরা লেন্স ইন্সটল করা থাকবে।
৫০০০ মেগাহার্জের ব্যাটারি পুরো মডেলের স্মার্টফোনটিকে পাওয়ার প্রদান করবে। অন্যদিকে ৪৮০০ মেগাহার্জের ব্যাটারি ইনফিনিটি মডেলের স্মার্টফোনকে পাওয়ার প্রদান করবে। প্রো মডেলের স্মার্টফোনটির দাম হতে পারে ৪২ হাজার রুপি ও ৫৮ হাজার টাকা। অন্যদিকে ইনফিনিটি মডেলের দাম হতে পারে ৭৫ হাজার রুপি এবং ৯৫ হাজার টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।