মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করে ১০ কাঠার প্লট নেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা দুদকের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া তাকে গ্রেপ্তার দেখান। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে উপস্থিত খায়রুল হককে মামলার শুনানির জন্য হাজির করা হয়। মামলার পক্ষের আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন জামিনের আবেদন করেন, কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ তা বাতিলের পক্ষে যুক্তি দেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর ২ নম্বর শিক্ষা সম্প্রসারণ সড়কে (নায়েম রোড) পৌনে ১৮ কাঠা জমির ওপর ৬ তলা পৈতৃক বাড়ি রয়েছে সাবেক প্রধান বিচারপতির। তবে প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন তিনি মিথ্যা তথ্য ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে দ্য ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (ডিআইটি) রুলস, ১৯৬৯-এর বিধি ১৩ লঙ্ঘন করে রাজউকের ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ পান।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, খায়রুল হক বরাদ্দের শর্ত ভঙ্গ করেন এবং রাজউকের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় সুদবিহীনভাবে অর্থ জমা দেন, ফলে সরকারের অর্থের ক্ষতি হয়। তিনি সুদ বাবদ চার লাখ ৭৪ হাজার ২৪০ টাকা পরিশোধ না করে বিশেষ সুবিধা গ্রহণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, সদস্য (অর্থ ও এস্টেট) আ.ই.ম গোলাম কিবরিয়া, সদস্য মো. আবু বক্কার সিকদার, সদস্য (পরিকল্পনা) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার, সদস্য (এস্টেট) আখতার হোসেন ভুইয়া, সাবেক যুগ্ম সচিব ও সদস্য (উন্নয়ন) এম মাহবুবুল আলম এবং সদস্য (প্রশাসন ও ভূমি) নাজমুল হাই।
এর আগে খায়রুল হককে জুলাই ও আগস্টে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ড ও কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং জাল হলফনামা/রায় প্রদানের মাধ্যমে সরকারি ক্ষতি সাধনের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।