লিওনেল মেসি ফুটবলের জাদুকর। ফুটবল পায়ে তার জাদু দেখার অপেক্ষায় থাকে বিশ্ব। কিন্তু ভারতে মেসি তিন দিনে চারটি শহর ঘুরলেও কোনো ম্যাচে খেলেননি, যদিও বেশ কিছু প্রদর্শনীমূলক ম্যাচ হয়েছে। ২০১১ সালে আগের ভারত সফরেও ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে কলকাতায় প্রীতি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি আর্জেন্টিনার জার্সিতে। আর এবার কয়েক মিনিটের জন্যও ফুটবল পায়ে নেননি। মূলত আর্থিক কারণে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক খেলেননি।

মেসির বাঁ পা জাদুর কারিগর। এই বাঁ পায়ের শৈল্পিক দক্ষতাই তাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়েছে। একবার তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, মেসির কোন পা চান তিনি, রাখঢাক না রেখে বলেছিলেন- বাঁ পা। আর এই পায়ের বিমা করা আছে। বিমার চুক্তি অনুযায়ী, ক্লাব বা দেশের হয়ে ছাড়া কোনো ম্যাচ খেলে বাঁ পায়ে চোট পেলে চিকিৎসার খরচ বিমা সংস্থা দেবে না। তা ছাড়া তিনি কোনো প্রদর্শনী ম্যাচও পুরো সময় খেলতে পারবেন না। এজন্যই ভারত সফরে এসে ফুটবল খেলার জন্য মেসি মাঠে নামেননি। আগামী বিশ্বকাপের আগে ইন্টার মায়ামি ও আর্জেন্টিনার সূচি ছাড়া না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
ভারতের এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেসির শুধু বাঁ পায়ের বিমার মূল্য প্রায় ৯০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১০ হাজার কোটি টাকা। প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে নেমে তিনি যদি বাঁ পায়ে আঘাত পান, তাহলে চিকিৎসার কোনো খরচ পাবেন না। এই ঝুঁকি এড়াতে ভারত সফরে কোনো প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতেও রাজি হননি এলএমটেন।
বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের শরীরের বিভিন্ন অংশের চড়া মূল্যে বিমা করা থাকে। ক্যারিয়ার শেষ হতে পারে, এমন মারাত্মক চোটের ক্ষেত্রে দ্রুত ও সর্বাধুনিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতেই বিমা করানো থাকে। তাছাড়া এধরনের বিমা খেলোয়াড়দের আর্থিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে। তবে শর্ত ভাঙলে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি থাকে। মেসিও সেই ঝুঁকি নিতে চাননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



