জুমবাংলা ডেস্ক: জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর ইউনিয়নের তুলসিপুরে বসছে দেশের সবচেয়ে বড় ঘোড়া বেচাকেনার হাট। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা আসছেন এই হাটে ঘোড়া বেচাকেনা করতে। বেচাকেনাও ভালো। তবে এবার ঘোড়ার দাম কম।
জেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে তুলসিপুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্রতি বৃহস্পতিবার বসে এই ঘোড়া হাট। হাটে ঘোড়া কেনাবেচা করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জড়ো হন ক্রেতা-বিক্রেতারা। দেশের সবচেয়ে বড় এই হাটটি ঘোড়া ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছে দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার শেরপুর, টাঙ্গাইল, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সিলেট পাবনাসহ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে ঘোড়া কেনাবেচা করতে আসেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। মাদিঘোড়া, টাট্টু, খাসি, বাহাদুর, রাজা, তাজিয়া, পারলে ঠেকাও, বিজলি, রানি, রাজ ও কিরণমালা জাতের ঘোড়া হাটে আসে।
হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য মিষ্টার জানান, প্রতি হাটবারে ৫০ থেকে ৬০টি ঘোড়া কেনাবেচা হয়। প্রতিটি ঘোড়া ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। ঘোড়ার পাশাপাশি এই হাটে বেচাকেনা হয় ঘোড়ার গাড়ি, লাগামসহ নানান সরঞ্জাম। হাটে থাকা খাওয়ার পরিবেশ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ভালো।
সিলেট থেকে ঘোড়া বিক্রি করতে আসা ফুমিয়া মিয়া বলেন, ২০ বছর হলো এই হাটে ঘোড়া বিক্রি করছি।দেশের সবচেয়ে বড় ঘোড়ার বাজার এটি। সারা দেশের ঘোড়া ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছে এই হাট পরিচিত। বেচা কেনাও ভালো। হাট পরিচালনাকারীরা সব ধরণের নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন।
টাঙ্গাইলের ঘোড়া বিক্রেতা বাবুল মিয়া বলেন, বাজারে ঘোড়ার দাম কম। ৪০ হাজার টাকার বেশি ঘোড়ার দাম উঠছে না।
জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান বলেন, তুলসিপুর ঘোড়ার হাটটি ঐতিহ্যবাহী। এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে সরকারের নজর দেয়ার প্রয়োজন আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।