জুমবাংলা ডেস্ক : যশোরের মণিরামপুরে ১২ দিন ধরে ফের করোনার টিকার নিবন্ধন বন্ধ রয়েছে। টিকার নিবন্ধনে সরকারি সুরক্ষা অ্যাপে ঢুকে টিকার নতুন করে কেউ নিবন্ধন করতে পারছে না। বিষয়টি মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধানের নজরে এলেও এ ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা নজরে আসেনি। ফলে টিকার নিবন্ধন করাতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে টিকা নিতে ইচ্ছুক মানুষেরা।
আজ শনিবার বিকেল পর্যন্ত সব তথ্য সঠিকভাবে দিয়ে চেষ্টা করা হলেও টিকার নিবন্ধন নিচ্ছিল না। মণিরামপুর হাসপাতাল কেন্দ্র পূর্ণ দেখাচ্ছে। অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রের নাম উল্লেখ করতে বলা হচ্ছিল। এর আগেও সপ্তাহখানেক এ উপজেলায় টিকার নিবন্ধন বন্ধ ছিল। তখন টিকার নিবন্ধন করাতে অনেকে ভোগান্তির শিকার হয়। পরে অবশ্য নিবন্ধন স্বাভাবিক হয়।
জানা গেছে, গেল ২৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার থেকে সরকারের সুরক্ষা অ্যাপে ঢুকে সব তথ্য দিয়ে করোনার নিবন্ধন করাতে ব্যর্থ হচ্ছে টিকা নিতে আগ্রহীরা। সব তথ্য দিয়ে সাবমিট করলে মণিরামপুর হাসপাতাল কেন্দ্র পূর্ণ দেখিয়ে অন্য হাসপাতাল কেন্দ্র উল্লেখ করতে বলা হচ্ছে।
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তন্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘আগেও টিকার নিবন্ধন বন্ধ থাকার বিষয়টি সিভিল সার্জন ও ঢাকায় জানিয়েছি। আজ (শনিবার) আবার কথা বলেছি। দ্রুত তাঁরা বিষয়টি ঠিক করে দেবেন বলে জানিয়েছেন। ‘
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র মতে, উপজেলায় ১২ বছরের ঊর্ধ্বে তিন লাখ ৮৫ হাজার ৬৫২ জনকে করোনা টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছে দুই লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৯ জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার। আর বুস্টার ডোজ নিয়েছে দুই হাজার ৬০০ জন।
এদিকে মণিরামপুরে এখনো এক লাখের বেশি মানুষ করোনা টিকার বাইরে রয়েছে। এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুল, কলেজ, দাখিল ও আলিম পর্যায়ের ১২-১৮ বছরের নিচের প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর টিকার প্রথম ডোজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন কওমি, হেফজ ও এতিমখানা পর্যায়ে একই বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার কাজ চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।