জুমবাংলা ডেস্ক : পাবনার চাটমোহরে কন্যা সন্তান প্রসব করার ১২ দিনের মাথায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে খাদিজা খাতুন রুনা নামের এক প্রসূতি। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে তার বাপের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ায় স্বামীর তরফ থেকে তালাক দেওয়ার কথা শুনে এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়দের অভিমত।
নিহত গৃহবধূ খাদিজা খাতুন উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা গ্রামের আবু বক্কারের মেয়ে। দুই বছর আগে বিয়ে হলেও বছরখানেক ধরে বাপের বাড়িতেই বসবাস করতেন তিনি। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর স্বামী তার কোনো খোঁজ-খবর নেননি।
এলাকাবাসী ও নিহত গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী আটঘরিয়া উপজেলার সুজাপুর গ্রামের বাসিন্দা সুলতান মাহমুদের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তার। বিয়ের বছরখানেক পরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ শুরু হয়। এক পর্যায়ে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাকে। ১২ দিন আগে গৃহবধূ রুনা একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। কন্যা সন্তান হওয়ার পরেও স্বামী তার সন্তানকে দেখতে না আসায় মনের বেদনা নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে নিজ ঘরের ডাবের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন খাদিজা খাতুন রুনা।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, নিহত গৃহবধূর পেটে বাচ্চা আসার পর থেকেই বাবার বাড়িতে ছিলেন। শুনেছি তার স্বামী কোনো খোঁজ-খবর নিতেন না, এমনকি বাচ্চা প্রসবের ১২ দিন অতিবাহিত হলেও তার স্বামী শিশু কন্যাকে পর্যন্ত দেখতে আসেননি। মূলত মনের কষ্টেই মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য বুধবার সকালে পাবনা মর্গে পাঠানো হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।