জুমবাংলা ডেস্ক : মহামারী কারোনাভাইরাসে দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সরকারি ঘোষণা থাকলেও বন্যায় পানিবন্দী থাকায় রাজবাড়ীর ২২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় একমাস ধরে রাজবাড়ীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরের বেশির ভাগ এলাকা বন্যার পানিতে নিমজ্জিত।
বুধবার বিকেলে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজবাড়ী গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে পদ্মার পানি ১৮ সেন্টিমিটার কমে এখনো বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। এছাড়া পাংশার সেনগ্রাম ও সদরের মহেন্দ্রপুরেও কমেছে পদ্মার পানি।
এদিকে পানি কমার সাথে সাথে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতঙ্ক। চলামান বন্যায় জেলায় চারটি উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ৬৭টি গ্রামের ১০ হাজার ১৩৭ পরিবারের ৪০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে প্রশাসন। তবে এখনো অনেকে ত্রাণ সহায়তা পায়নি বলে অভিযোগ করেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, চলতি বন্যায় জেলার আবাদী প্রায় সাড়ে ৯ শত একর জমির ফসল তলিয়ে নষ্ট হচ্ছে। এর মধ্যে জেলার কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের হরিণবাড়ীয়ার চরে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: জিল্লুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়সহ জেলার ২১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন পানিবন্দী।
কালুখালীর কৃষ্ণ নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশনা তিনি পেয়েছেন। তবে তার স্কুলটি পুরোপুরিভাবে এখন পানিবন্দী। ক্লাস রুমগুলোতে পানি না উঠলেও স্কুল মাঠ, বাথরুমে বন্যার পানি রয়েছে। পানি না কমা পর্যন্ত কোনোভাবেই স্কুল পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
রাজবাড়ীর তথ্য বাতায়ন সূত্রে জানা গেছে, জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৪৮২টি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে বিদ্যালয় ১৪৮টি ও মাদরাসা ৭৪টি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী জানান, জেলার নিম্নাঞ্চলের ২১ বিদ্যালয় এখন পর্যন্ত প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে গোয়ালন্দে বেশি। এসব বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ও বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণ থেকে পানি না নামা পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে যাবে। পরে শিক্ষার সকল কার্যক্রমকে জোরদার করে ক্ষতি পুশিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হবে।
জেলা শিক্ষা অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, জেলার কালুখালীর একটি উচ্চ বিদ্যালয় পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া বন্যা দুর্গতদের জন্য ৭টি স্কুলকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাছাড়া জেলার সকল উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদরাসাগুলোকে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস গ্রহণের জন্য উপযোগী করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।