জুমবাংলা ডেস্ক : শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনুমানিক ১৪ কেজি সোনাসহ তিনজন যাত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ। টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে আজ ভোর ৫টায় এই তিন যাত্রী ঢাকায় অবতরণ করেন। পরে বিমানবন্দরের কাস্টমস এলাকা পার হলে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের গোয়েন্দা দল তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলেন- রিয়াজুল হাসান (৪৩), মোহাম্মদ আমিন (৩৫), মোকারাম খাঁন (৩৩)।
জানা যায়, কাস্টমস ফাঁকি দেওয়ার জন্য বিশেষ পদ্ধতিতে স্বর্ণ গুড়া করে এক ধরনের তরলের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্টের মতো করে এই স্বর্ণ নিয়ে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, টিকে ৭১২ ফ্লাইটে স্বর্ণ চোরাচালানের চেষ্টা হতে পারে এই গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর বিমানবন্দর এলাকায় সতর্ক অবস্থান নেয় এপিবিএন। নির্ধারিত ফ্লাইটটি ল্যান্ড করার পর কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর ওই তিন যাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, আটকের সময় জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে স্বর্ণ চোরাচালানের কথা অস্বীকার করলেও তল্লাশির পর তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে বিশেষ কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় স্বর্ণ পাওয়া যায়। মোলায়েম পেস্টের মতো এক ধরনের তরলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় এই স্বর্ণে। তিনজন যাত্রীকেই তল্লাশির পর তাদের কাছ থেকে প্রায় ১৪ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই বিশেষ কৌশলে তারা স্বর্ণ চোরাচালানের চেষ্টা করছিলেন। নরম এই স্বর্ণের দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় বেশি লাভের আশায় এই স্বর্ণ তারা ঈদের আগে চোরাচালানের চেষ্টা করেন। ঢাকায় ব্যবসায়ীদের কাছে এই স্বর্ণ বিক্রি করার মাধ্যমে বড় অংকের অর্থলাভের লোভেই এই পথে পা বাড়ান তারা। ইস্তাম্বুলে এক ভারতীয় নাগরিকের কাছ থেকে তারা এই স্বর্ণ সংগ্রহ করেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আরো জানান, উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য আট কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকা। তিন আসামির বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।