বিনোদন ডেস্ক : দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেতা ধানুশ। বিতর্ক থেকে সব সময় দূরেই রাখেন নিজেকে। তবে এবার বিতর্কই সঙ্গী হলো অভিনেতার। সম্প্রতি চেন্নাইয়ের পোয়েস গার্ডেনে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার একটি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন এই অভিনেতা।
আর এত টাকা দিয়ে বিলাসবহুল বাড়ি কিনেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন ধানুশ। চলছে ব্যাপক আলোচনা। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে নীরবতা ভেঙেছেন ধানুশও।
নিজের আসন্ন চলচ্চিত্র ‘রায়ান’- এর অডিও লঞ্চের সময় ধানুশ এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।
অভিনেতা বলেন, ‘যদি আমি আগে জানতাম যে পোয়েস গার্ডেনে একটি বাড়ি কেনা নিয়ে এত আলাপ-আলোচনা হবে বা এই বিষয়টাকে এত বড় করে দেখা হবে তাহলে আমি তার পরিবর্তে একটি ছোট অ্যাপার্টমেন্ট কিনতাম। আমার মতো একজন ব্যক্তির কি পোয়েস গার্ডেনে একটি বাড়ি কেনা উচিত নয়? রাস্তায় জন্মে কি জীবনের শেষ পর্যন্ত সেখানেই থাকতে হয়?’
কেন তিনি পোয়েস গার্ডেনে একটি বাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সে সম্পর্কে তিনি একটি মজার গল্প শেয়ার করেছেন। কারণ এই পোয়েস এলাকাতেই রয়েছে প্রবীণ অভিনেতা রজনীকান্ত এবং তামিলনাড়ুর প্রয়াত সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জে. জয়ললিতার বাসভবন। ধানুশ বলেন, ‘যখন আমার ১৬ বছর বয়স ছিল তখন আমি আর আমার বন্ধু একসঙ্গে বাইকে করে ঘুরছিলাম, আমি থালাইভার (রজনীকান্ত) বাড়ি দেখতে চেয়েছিলাম৷ তাঁর বাড়ির সামনে অনুরাগীরা ভিড় করে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
পুলিশি নিরাপত্তায় ঘেরা ছিল তাঁর বাড়ি। থালাইভার বাড়ি দেখে বাইকে করে ফেরার সময় আমরা দেখতে পেলাম, আরো একটি বাড়ির সামনে বিশাল ভিড়, পথচারীদের থেকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম সেটা জয়ললিতার বাড়ি। আমি সেই মুহূর্তে দুটি ঘরের দিকে তাকালাম। আর এই সবটা দেখে পোয়েস গার্ডেনে একটা ছোট বাড়ির মালিক হওয়ার ইচ্ছা মনের মধ্যে জাগল।’
এই ঘটনা শেয়ার করা পর অভিনেতা তার জীবন-সংগ্রামের গল্পও বলেন।
তার এই স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি কতটা কঠোর পরিশ্রম করেছেন সে কথাও জানান। ধানুশ বলেন, ‘সে সময় আমি অনেক লড়াই করেছিলাম। তারপর ২০ বছর ধরে কাজ করার পরে আমি আজ পোয়েস গার্ডেনে বাড়ি কিনেতে পারলাম। এটা আমার নয়, ১৬ বছর বয়সী ধানুশকে ভেঙ্কটেশ প্রভুর দেওয়া উপহার।’
ধানুশের চলচ্চিত্র ‘রায়ান’ আজ (২৬ জুলাই) মুক্তি পেয়েছে। এটি তার ৫০তম চলচ্চিত্র। এতে আরো অভিনয় করেছেন অপর্ণা বালামুর্তি, নিথিয়া মেনন, দুশারা ভিজয়ান, সন্দীপ কিষান, কালীদাস জয়রাম প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।