আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৯৭১ ইস্যু নিয়ে বেশ কয়েকবার মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে ইস্যুটি নিয়ে যেন কথা বলতে মানা। তাই এ বিষয়টি নিয়ে ইমরান খানকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।
শনিবার (০১ জুন) দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তানের মধ্যকার স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি বলেন, এ ইস্যুতে কথা বেশি দূর আগালে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠতে পারে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইমরান খানের পক্ষ থেকে একটি বার্তা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, প্রকৃত দেশদ্রোহী জেনারেল ইয়াহিয়া না কি শেখ মুজিবুর রহমান তা জানতে হামুদ উর রহমানের প্রতিবেদনটি প্রত্যেক পাকিস্তানিদের পড়া উচিত।
১৯৭১ সালে যৌথ বাহিনীর কাছে পরাজিত হয় পশ্চিম পাকিস্তান। ফলাফল স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম হয় বাংলাদেশ। এ ঘটনার পর পাকিস্তানের সাবেক বিচারপতি হামুদ উর রহমানকে প্রধান করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার একটি কমিশন গঠন করে। পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে ইসলামাবাদের দূরত্ব এবং এ যুদ্ধের কারণ অনুসন্ধান ছিল এ কমিশনের মূল দায়িত্ব।
সাবেক এ বিচারপতির নেতৃত্বাধীন কমিশন নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন জমা দেয়। তবে সেনাবাহিনীর আপত্তির কারণে সেই প্রতিবেদন আজও আলোর মুখ চোখে দেখেনি।
অন্যদিকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে আদিয়ালা কারাগারে রয়েছেন। ফলে তার কারাগারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের অনুমতি নেই। বর্তমানে তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের সোশ্যাল মিডিয়া টিম তার অ্যাকাউন্টটি পরিচালনা করে আসছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টটি দেওয়ার কিছু সময় পর তা আবার মুছেও দেওয়া হয়।
পাকিস্তানের জিওটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধ একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এটি একটি ট্রাজেডি। ইমরান খান এ সম্পর্কে ওয়াকিফহাল। কিন্তু এরপরও বিষয়টি নিয়ে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।
খাজা আসিফ বলেন, ইমরান খানের প্রতি আমার পরামর্শ হলো- তিনি দেশের রাজনীতি অস্থিতিশীল করতে না চাইলে যেন নিজের মুখ বন্ধ রাখেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।