জুমবাংলা ডেস্ক: বগুড়ার আলোচিত-সমালোচিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শোকরানা বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন।
‘ব্যক্তিগত’ কারণ দেখিয়ে সোমবার তিনি দলটির সকল পদ এমনকি সাধারণ সদস্য থেকেও পদত্যাগের কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে চিঠি দিয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে পাঠানো সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ গ্রহণের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শোকরানা পদত্যাগের এ সিদ্ধান্ত নিলেন। তবে তার এ পদত্যাগের সঙ্গে দুদকের নোটিশের কোন যোগসূত্র নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বগুড়ার তিন তারকা খচিত হোটেল নাজ গার্ডেনের স্বত্বাধিকারী সাবেক যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ শোকরানা প্রায় কুড়ি বছর আগে ১৯৯৯ সালে তারেকের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেছিলেন। এরপর ক্রমেই তিনি তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। বিএনপি থেকে পদত্যাগের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং বগুড়া জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে শোকরানা বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বগুড়া-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে পরাজিত হন। ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধয়াক সরকারের শাসনামলে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ ডাল মজুদ এবং সরকারি ত্রাণের কম্বল রাখার অভিযোগে তৎকালীন যৌথবাহিনী তাকে গ্রেফতার করেছিলেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যুবলীগের দাপুটে নেতা শোকরানার বিরুদ্ধে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত সময়ে বগুড়া শহরে একাধিক হত্যাসহ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে কিবরিয়া হত্যার ঘটনায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট গ্রেফতার হওয়া শোকরানা মাত্র ৬ বছর কারাবাসের পর তৎকালীন বিএনপি সরকারের সময়ে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে মুক্তি পান। এরপর কিছুদিন তিনি পুরোপুরি ব্যবসায় মনোযোগী হন। তবে এরশাদের শাসনামলে তিনি জাতীয় পার্টিতে ভিড়েন এবং ওই দলটির বগুড়া শহর কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নেন। এরশাদ পতনের পর প্রায় ৯ বছর তিনি রাজনীতিতে নিস্ক্রিয় ছিলেন।
দুদকের স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো ওই নোটিশটি সোমবার সকালে মোহাম্মদ শোকরানা গ্রহণ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।