জুমবাংলা ডেস্ক : গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা ও ভুয়া কাগজে একই গাড়ি বিভিন্নজনের কাছে বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের ২০টি মাইক্রোবাস জব্দ করেছে পুলিশ।
পুলিশ হেফাজতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম থেকে গাড়িগুলো উদ্ধারের কথা জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মিন্টোরোডে পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, একটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখিয়ে জাকির ৩৭ জনের কাছে বিক্রি করেছেন, সেই তথ্য তদন্তে উঠে এসেছে।
“বন্দর থেকে অল্প দামে গাড়ি কিনে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা নিতেন জাকির। এরপর সেসব গাড়ি ‘রেন্ট-এ কার’ ব্যবসার নামে মাসিক ভাড়ায় পরিচালনা করার চুক্তি করতেন।
“একই গাড়ি এভাবে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে ভাড়ায় দেওয়ার নামে চুক্তি করতেন। এ ছাড়া একই রেজিস্টেশন নম্বরের গাড়ি একাধিক জাল দলিলের মাধ্যমে বিভিন্নজনের কাছে বিক্রি করতেন।”
হারুন অর রশীদ বলেন, “অধিকাংশ ক্ষেত্রে শুধু ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর দিয়ে গাড়ি বিক্রির চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করা হত। পরে সেটা নিজেই মাসিক ভাড়ায় পরিচালনা করতেন জাকির। কিছুদিন ভাড়া পরিশোধ করার পর ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দিতেন এবং গাড়ি কেনার অর্থ আত্মসাৎ করতেন।”
এ ছাড়া আগে বিক্রি করা গাড়ি অল্প মূল্যে মালিকানা হস্তান্তরের কথা বলে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে ওই চেয়ারম্যান বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মুগদা থানায় একটি প্রতারণার মামলা হয়। মামলাটি গোয়েন্দা বিভাগীয় জোনাল টিম ছায়াতদন্ত শুরু করেছিল।
পরে ২১ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা থেকে জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৪৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি উপজেলার মানিকাচর ইউপির চেয়ারম্যান।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন বলেন, ৬০ থেকে ৭০টি গাড়ি দেখিয়ে বিভিন্ন পেশাজীবী ৩০০ থেকে ৭০০ জনের সঙ্গে প্রতারণা করেন জাকির। এদের মধ্যে ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা, সরকারের এমপিও রয়েছেন।
জাকিরের ৬৭টি গাড়ি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ এখন পর্যন্ত প্রতারণার মাধ্যমে বিক্রি করা ২০টি গাড়ি দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করেছে। আরও ৪০টি গাড়ির প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে।
“জাকিরের পাঁচ থেকে ছয়জন সহযোগী রয়েছে। প্রতারণার মাধ্যমে সে আনুমানিক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। তার প্রতিষ্ঠান ‘আরকে মটরস’ এর নামে এবং তার আত্মীয়-স্বজনের নামে ২৭টি ব্যাংক একাউন্ট এর তথ্য পাওয়া গেছে।”
জাকিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানার ১২টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। অটোরিকশা চালক থেকে কীভাবে এই প্রতারণার জগতে এসেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সেবা অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালের ফি নির্ধারণ হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।