আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরবের গবেষকরা ২০০০ বছর পূর্বে মারা যাওয়া এক নারীর মুখাবয়ব উন্মোচন করেছেন। বর্তমানে নাবাতিয়ান জনগোষ্ঠীর এই নারীর মুখাবয়ব আল-উলা শহরের হেগরা ওয়েলকাম সেন্টারে প্রদর্শিত হচ্ছে।
এর আগে ২০১৫ সালে দেশটির প্রাচীন শহর আল-উলায় একটি কবরে ৮০টি কঙ্কাল পাওয়া যায়। তারমধ্যে একটি ছিল এই নাবাতিয়ান জনগোষ্ঠীর এক নারীর। মাটি খুঁড়ে এই কঙ্কালগুলো পাওয়া যায়। তখন এই নারী কঙ্কালের নাম দেয়া হয় হিনাত। এছাড়াও কবরের সামনে তার এই নামই খোদাই করে লেখা ছিল।
গবেষণার পর জানা গেছে, হিনাতের বয়স ছিল ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। উচ্চতা ছিল ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। মধ্যবিত্ত্ব পরিবারের সদস্য ছিলেন তিনি।
লাইভ সায়েন্স জানিয়েছে, হিনাতের মুখাবয়ব কেমন ছিল তা নির্ধারণ করতে আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি দল তাদের সকল জ্ঞান ঢেলে দিয়েছেন। এরপর ব্যবহার করেছেন কম্পিউটারকে।
আর তাতেই হিনাতের চেহারার থ্রিডি ছবি মিলেছে। এরপর সিলিকনের মাধ্যমে সেটিকে বাস্তব আকার দিয়েছেন গবেষকরা। তাতে পরানো হয়েছে ২০০০ বছর আগেকার পোশাকও।
এটাই নাবাতিয়ান জনগোষ্ঠীর প্রথম মুখাবয়ব তৈরির ঘটনা। এই জাতিটি আরব ভূমির সবথেকে প্রাচীনদের একটি। যিশুর জন্মেরও ৬০০ বছর আগে থেকেই তারা বেশ পরিচিত ছিল। ভূমধ্যসাগর ও দক্ষিণ আরবকে যুক্ত করা প্রাচীন রাস্তার পাশে এই নাবাতিয়ান জনগোষ্ঠী বিস্তার লাভ করেছিল। তারা মূলত ব্যবসায়ী ছিল। যদিও ইতিহাস থেকে তাদের বিষয়ে খুব বেশি কিছু জানা যায় না।
প্রত্নতাত্ত্বিক লায়লা নেহমে বলেন, নাবাতিয়ানরা কিছুটা রহস্যময়। আমরা তাদের বিষয়ে অনেক কিছু জানি, কিন্তু একই সাথে আমরা আবার কিছুই জানি না। কারণ তারা কোনো সাহিত্যিক গ্রন্থ বা রেকর্ড রেখে যায়নি। তবে হিনাতের কবরটি খুড়ে পরকাল সম্পর্কে তাদের বিশ্বাস সম্পর্কে ভাল ধারণা পাওয়া গেছে।
সূত্র : আরব নিউজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।