বিজনেস ডেস্ক : কর্পোরেট লেভেলে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় ২০২০ সাল থেকে বদলে যাচ্ছে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং সিস্টেম। আগামী ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং মানদণ্ড ইস্যুর কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতিমূলক কাজ হিসেবে তিনটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নির্ধারণী সংস্থার সদস্যপদ ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে ‘ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল’। অন্যান্য সংস্থার সদস্যপদ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানা যায়।
সম্প্রতি ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল অর্থ মন্ত্রণালয়ে তাদের কার্যক্রমের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। ওই প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতোমধ্যে গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এফআরসি’র জনবল কাঠামো এবং খসড়া নিয়োগের বিধি অর্থ বিভাগের অনুমোদনপ্রাপ্তির পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামী ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে মানদণ্ড ইস্যুর কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতিমূলক কাজ হিসেবে তিনটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নির্ধারণী সংস্থার সদস্যপদ ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে এবং অন্যান্য সংস্থার সদস্যপদ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, চারটি পূর্ণদিবস কর্মশালার মাধ্যমে ২৪০ নিরীক্ষককে নিরীক্ষা-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। জনস্বার্থ সংস্থার আর্থিক প্রতিবেদন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দৃশ্যমান সাধারণ অনিয়ম-সংক্রান্ত পরামর্শমূলক ও সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দুটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ এবং ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এ সংক্রান্ত অনিয়ম উল্লেখপূর্বক কারণ দর্শানোর চিঠি দেয়া হয়েছে।
আলাপকালে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) চেয়ারম্যান সি কিউ কে মুস্তাক আহমেদ বলেন, চার্টার্ড সেক্রেটারিরা যেন তাদের পেশাগত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেন সেজন্য ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল তাদের যথাযথ সহায়তা করবে। এজন্য তারা সবধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন।
১০টি জনস্বার্থ সংস্থার আর্থিক বিবরণী এবং দুটি শিক্ষা ফার্মের ফাইল যাচাই করে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সতর্ক করা হয়েছে। আইসিএবি, আইসিএমএবি ও আরজেএসসি- এর প্রধানের সঙ্গে একাধিক সভা করা হয়েছে। এফআরএ ২০১৫-এর অধীন বিভিন্ন বিধি, প্রবিধান খসড়া প্রণয়ন, পরামর্শক নিয়োগ ও সম্ভাব্য খসড়া বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জনস্বার্থ সংস্থাসমূহের ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কার্যক্রমকে একটি স্বনিয়ন্ত্রিত কাঠামোর আওতায় আনা, হিসাব-নিকাশ পেশার স্ট্যান্ডার্ডস প্রণয়ন, যথাযথ প্রতিপালন, বাস্তবায়ন, তদারকি ও এতদ-সংক্রান্ত অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য একটি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ প্রণয়ন করা হয়।
আইনের আওতায় প্রজ্ঞাপন জারি করে ‘ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল’ গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে সংস্থার অফিস স্থাপন এবং অফিসের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, চারটি মোটরযান ও অন্যান্য সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হয়েছে। ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও দুজন নির্বাহী পরিচালকের নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। বেশকিছু জনস্বার্থ প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণপূর্বক সতর্ক করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।