Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ২০২৪ গবেষণা: জিন গবেষণায় নয়া বিপ্লব
    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

    ২০২৪ গবেষণা: জিন গবেষণায় নয়া বিপ্লব

    Yousuf ParvezDecember 11, 20244 Mins Read
    Advertisement

    ২০২৪ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞান বা শারীরতত্ত্বে নোবেল পেয়েছেন দুই মার্কিন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুন। মাইক্রোআরএনএ (microRNA) আবিষ্কার ও ট্রান্সক্রিপশন-পরবর্তী জিন নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকা নিয়ে গবেষণার জন্য তাঁরা এ পুরস্কার পান। বহুকোষী প্রাণীর দেহে কীভাবে জিন নিয়ন্ত্রণ হয়, সে বিষয়ক ধারণার খোলনলচে বদলে দিয়েছে তাঁদের এ গবেষণা।

    microRNA

    দেহের প্রতিটি কোষে থাকা ক্রোমোজোমের তথ্যকে কোষগুলোর জন্য নির্দেশিকা বলা যেতে পারে। মানুষের শরীরের প্রায় প্রতিটি কোষেই আছে একই ক্রোমোজোম। তাই প্রতিটি কোষে আছে একই জিন, একই নির্দেশনা। এই নির্দেশনা ক্রোমোজোমের ডিএনএ থেকে মেসেঞ্জার আরএনএতে যায়। এ প্রক্রিয়াকে বলে ট্রান্সক্রিপশন। এরপর মেসেঞ্জার আরএনএর নির্দেশনা অনুযায়ী তৈরি হয় প্রোটিন। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ট্রান্সলেশন।

    দেহের বিভিন্ন অঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কোষ। নানা ধরনের কোষের বৈশিষ্ট্য আবার একদম আলাদা। মাংসপেশির কোষ আর স্নায়ুকোষের মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া কঠিন। তাহলে ঠিক কীভাবে এই পার্থক্যগুলো তৈরি হয়? এর উত্তর—জিন নিয়ন্ত্রণ। কখন কোথায় জিন থেকে আরএনএ, এরপর তা থেকে প্রোটিন তৈরি হবে, তার নিয়ন্ত্রণ জীবের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। জিন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কোষগুলো ক্রোমোজোম থেকে শুধু তার জন্য উপযোগী নির্দেশনাগুলোই অনুসরণ করে; অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট ধরনের কোষে নির্দিষ্ট কিছু জিনই শুধু কাজ করে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এ কারণেই শুধু অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষ থেকে ইনসুলিন তৈরি হয়, আর শুধু চোখের রেটিনার কোষ তৈরি করে অপসিন।

       

    আবার দেহের ভেতর ও বাইরের পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতেও কোষের ভেতরের কোন জিনটি কাজ করবে আর কোনটি করবে না, তা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হয়। এই জিন নিয়ন্ত্রণ যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও বিভিন্ন অটোইমিউন রোগ হতে পারে।

    গত শতকের ষাটের দশকেই বিজ্ঞানীরা ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টর সম্পর্কে জানতেন। এগুলো ডিএনএর নির্দিষ্ট অংশে যুক্ত হয়ে নির্ধারণ করে দেয় কোন কোন অংশ থেকে মেসেঞ্জার আরএনএ তৈরি হবে। এরপর হাজার হাজার ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টর আবিষ্কৃত হয়। ডিএনএতে যুক্ত হওয়া এই ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টর যেমন এককোষী প্রাণিদেহে পাওয়া যায়, তেমনি পাওয়া যায় বহুকোষী প্রাণীতেও। বিজ্ঞানীরা ভাবতেন, এটিই জিন নিয়ন্ত্রণের মূল উপায়।

    কিন্তু জিন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আরএনএ ও প্রোটিনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণের জন্য বহুকোষী প্রাণীর রয়েছে আরও নানা উপায়। সেগুলো তখনো বিজ্ঞানীদের জানা ছিল না। ১৯৯৩ সালে চলতি বছরের নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীরা জিন নিয়ন্ত্রণের নতুন এক উপায় আবিষ্কার করেন।

    জিন গবেষণায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ বা এ রকম কোনো বড় প্রাণী ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। তাই সহজে ও কম খরচে গবেষণার জন্য ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন ‘মডেল’ জীব। এমনই এক মডেল জীব হলো Caenorhabditis elegans (C. elegans) নামের মাত্র ১ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের এক গোলকৃমি। এগুলো দেখতে স্বচ্ছ, খুব কম সময়ে নতুন প্রজন্মের জন্ম দেয়, আর এদের জিনে পরিবর্তন করাও বেশ সহজ। তাই পাঁচ দশক ধরে এই গোলকৃমি ব্যবহৃত হয়ে আসছে জিন গবেষণায়। C. elegans ব্যবহার করেই আবিষ্কৃত হয়েছে কোষ বিভাজন, এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কোষ সৃষ্টি এবং কোষের মৃত্যুর মতো প্রক্রিয়ায় কীভাবে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তৈরি হয়, এর পেছনে বিভিন্ন জিনের ভূমিকা কী—এই সবকিছু।

    বর্তমানে আমরা জানি, মানুষের জিনোম এক হাজারের বেশি মাইক্রোআরএনএ তৈরির নির্দেশনা বহন করে। আর বহুকোষী প্রাণীদের বৃদ্ধি ও কাজে মাইক্রোআরএনএর ভূমিকা অপরিহার্য। বর্তমানে miRBase ডেটাবেজে ২৭১টি জীবের ৪৮ হাজার ৮৬০টি মাইক্রোআরএনএর সিকোয়েন্স সংরক্ষিত আছে। এমনকি বিভিন্ন ভাইরাসেও পাওয়া গেছে মাইক্রোআরএনএর জিন।

    বিজ্ঞানীরা শুধু নতুন নতুন মাইক্রোআরএনএ খুঁজে বের করেছেন, তা নয়; মাইক্রোআরএনএ ঠিক কীভাবে আরেকটি আরএনএতে যুক্ত হয়ে এর কাজ নিয়ন্ত্রণ করে, তা–ও বের করেছেন। এটা কীভাবে হয়? মাইক্রোআরএনএ ডাইসার (Dicer) প্রোটিনের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত হয়ে একটি কমপ্লিমেন্টারি আরএনএর সঙ্গে মিলে দ্বিসূত্রক আকার নেয়। এই দ্বিসূত্র আবার আরগুনয়েট প্রোটিনসহ একটি সাইলেন্সিং কমপ্লেক্স (যা নির্দিষ্ট জিনের কাজ বন্ধ করে দিতে পারে) তৈরি করে, যেখান থেকে ‘অতিরিক্ত’ মাইক্রোআরএনএটি বিদায় নেয়। এ পর্যায়ে এই সাইলেন্সিং কমপ্লেক্স তার টার্গেট জিনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তার কাজ বন্ধ করে দিতে পারে।

    একটি মাইক্রোআরএনএ অনেক জিনের ওপর কাজ করতে পারে। আবার একটি জিনের ওপরও কাজ করতে পারে অনেক মাইক্রোআরএনএ। মজার ব্যাপার হলো কোনো নির্দিষ্ট ধরনের কোষে যদি কোনো মাইক্রোআরএনএ তৈরি হয়, সাধারণত সে ধরনের কোষে ওই মাইক্রোআরএনএ যুক্ত হওয়ার মতো কমপ্লিমেন্টারি সিকোয়েন্স বা ‘টার্গেট সাইট’ যুক্ত কোনো জিন দেখা যায় না। কিন্তু ওই কোষের আশপাশের অন্য ধরনের কোষগুলোতে এমন টার্গেট সাইট থাকে প্রচুর।

    স্পষ্টতই মাইক্রোআরএনএর উপস্থিতির কারণে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় একই ধরনের কোষ সহজে বেড়ে উঠতে পারে, আর অন্য ধরনের কোষ বাধাপ্রাপ্ত হয়। কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন মাইক্রোআরএনএ একই ধরনের কাজ করায় মাইক্রোআরএনএ গবেষণা বেশ জটিল। তবে একই কারণে আবার মাইক্রোআরএনএ সিস্টেম বেশ বলিষ্ঠ, ভাইরাসসহ অন্যান্য আক্রমণ সহ্য করে কাজ করে যাওয়ার ক্ষমতা আছে মাইক্রোআরএনএ সিস্টেমের।

    মাইক্রোআরএনএ দিয়ে জিন নিয়ন্ত্রণ, শত মিলিয়ন বছর ধরে চলে এসেছে। এই জিন নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় অভিযোজিত হয়েছে জটিল জটিল বহুকোষী প্রাণী। যেসব মাইক্রোআরএনএ সব ধরনের দ্বিপক্ষীয় প্রতিসাম্যযুক্ত জীবে আছে, সেগুলো কাজ করে ভ্রূণীয় অবস্থার একদম শুরুতে। আবার যেসব মাইক্রোআরএনএ শুধু স্তন্যপায়ী প্রাণীতে পাওয়া যায়, সেগুলো কাজ করে ভ্রূণদশার শেষ দিকে। অন্যদিকে যেসব মাইক্রোআরএনএ একটি প্রজাতিতে সীমাবদ্ধ, সেগুলো সাধারণত কাজ করে প্রাপ্তবয়স্ক জীবে।

    বর্তমান গবেষণা থেকে আমরা জানি, মাইক্রোআরএনএ ছাড়া কোষ ও টিস্যু স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে না। মাইক্রোআরএনএতে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে কিডনি, থাইরয়েড, ডিম্বাশয়, সার্ভিক্স, শুক্রাশয়, মস্তিষ্ক, চোখ বা ফুসফুসের ক্যানসার, জন্মগত বধিরতা, চোখ ও হাড়ের বিভিন্ন রোগের কারণ। এ ধরনের রোগগুলো প্রায়ই দেখা যায় শিশুদের মধ্যে।ছোট্ট এক গোলকৃমি থেকে অ্যামব্রোস আর রাভকুনের মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার ছিল অপ্রত্যাশিত, কিন্তু যুগান্তকারী। এই আবিষ্কার জিন নিয়ন্ত্রণ গবেষণায় নতুন দিক খুলে দিয়েছে।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘ও ‘নয়া ২০২৪ MicroRNA গবেষণা গবেষণায়? জিন প্রযুক্তি বিজ্ঞান বিপ্লব
    Related Posts
    Oppo Find X9

    বাজারে আসছে Oppo Find X9 সিরিজ , থাকছে শক্তিশালী প্রসেসর ও প্রিমিয়াম ডিজাইন

    September 30, 2025
    ব্যাটারি ফুলা

    আপনার ফোনের ব্যাটারি কি ফুলে উঠেছে? বিপদ এড়াতে এখনই ৩ সহজ পদক্ষেপ নিন

    September 30, 2025
    Poco F8

    Snapdragon 8 Elite Gen 5 প্রসেসরসহ বাজারে আসছে Poco F8 সিরিজ

    September 30, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Sangsar

    ভেঙে গেল নিকোল কিডম্যানের ১৯ বছরের সংসার

    প্রেম

    ৪টি কাজ করলে যে কেউ আপনার প্রেমে পড়বে

    Keanu Reeves marriage

    Keanu Reeves and Alexandra Grant’s Broadway Date Night

    Michigan church shooting

    Key Details from Michigan Church Shooting Press Conference

    Trump Gaza Peace Plan

    Trump Praises Pakistan PM Asim Munir for Gaza Plan Backing

    Snapchat storage

    Snapchat Ends Free Storage for Memories, Launches Paid Tiers

    Snapchat Memories Storage

    Why Snapchat Is Introducing Paid Storage for Memories

    কচি খন্দকার

    ‘বন্ধুর ছেলেরাও আমাকে ভাই বলে’

    Nicole Kidman Keith Urban separation

    Nicole Kidman and Keith Urban’s Children and Net Worth Update

    corn dog recall

    Why 58M Pounds of Corn Dogs and Sausage Sticks Are Recalled in the US

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.