ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে সফল হতে হলে একজন ফ্রিল্যান্সারকে নিজের হার্ড স্কিলের পাশাপাশি এমন অনেক স্কিল আছে যা তাকে তার কাজের সার্থেই রপ্ত করতে হয় এবং এই স্কিলগুলো ছাড়া সফল হওয়া অসম্ভব। আপনারা অনেকেই হার্ড স্কিল এবং সফট স্কিল এই দুইটা বিশেষ টার্মের সাথে হয়তোবা পরিচিত। আর বর্তমানে হার্ড স্কিলের সাথে সাথে সফট স্কিলের গুরুত্ব কোন অংশেই কম নয়।
যোগাযোগ দক্ষতা
পারসোনাল কিংবা প্রফেশনাল লাইফে একটা মানুষের জন্য কমিউনিকেশন স্কিল যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আসলে বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই স্কিল ডেভেলপ করতে আমরা সবচেয়ে বেশি অপারগতা প্রকাশ করি। একজন ফ্রিল্যান্সার কখনোই সফল হবে না যদি না সে এই কমিউনিকেশনে এই দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। আমাদের সফলতার জন্য প্রধান অন্তরায় মানুষের সাথে কথা বলতে না পারা।
আমরা অনেকেই বুঝে উঠতে পারি না কিভাবে কথোপকথন শুরু করতে হবে? বায়ারকে নিজের কাজের জন্য কিভাবে এপ্রোচ করতে হবে? কিভাবে লজিক্যাল ফ্যাক্ট এবং ডাটা প্রদর্শনের মাধ্যমে নিজের কাজের পারদর্শিকতা প্রকাশ করতে হবে? নিয়মিত বায়ারকে নিজের কাজের সম্পর্কে কিভাবে আপডেট দিবেন? কাজ শেষে বায়ারের ফিডব্যাক কিভাবে হ্যান্ডেল করবেন? কাজশেষে বায়ারের সাথে যোগাযোগ কিভাবে মেইনটেইন করবেন? সবকিছু সম্পর্কে জানতে হবে।
সময় ব্যবস্থাপনা
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের ধরণ যেহেতু অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক কাজের ধরণ থেকে একটু ভিন্ন সেক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সারের সময় জ্ঞান থাকা তার ক্যারিয়ারের জন্য যে কতটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ তার কাজের জন্য কারোর কাছে জবাবদিহিতা করতে হয় না। হাজার ব্যস্ততার মাঝে তাকে সময়ের কাজ সময়ে করতে হয়। যেহেতু একজন ফ্রিল্যান্সার অফিসিয়াল পরিবেশে কাজ করতে পারে না। মাঝে মাঝে প্রডাকটিভিটি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। বিভিন্ন ধরণের স্ট্রেসের কারণের তার কাজের ব্যাঘাত ঘটতে পারে?
আবার এমনও না আপনি একটা কাজ অনেকক্ষন সময় নিয়ে করতে পারবেন। যা আপনার অন্যান্য কাজেও ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। যদিও আপনার স্কিল এবং অভিজ্ঞতা একটা ফ্যাকটর যেখানে আপনি কম সময়ে অনেক বেশি কাজ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ট্যুল ব্যবহার করা উচিৎ। সেই প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ট্যুলে আপনার প্রতিদিনের টু-ডু লিস্ট সেট করা থাকলে তেমন ঝামেলা পোহাতে হবে না।
নমনীয়তা এবং অভিযোজনযোগ্যতা
যে কোন পরিস্থিতিতেই নিজেকে খাপ খাওয়ানো আসলেই অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জিং। সারা বিশ্ব যেদিকে যেভাবে আগাচ্ছে আপনাকে ঠিক সেভাবে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। যেকোন প্রফেশনাল মানুষদের কাজে টেকনোলজিক্যালি অনেক পরিবর্তন আসছে এবং আসবে। সেই সাথে আপনাকে খাপ খাওয়ায়ে চলতে হবে। তাছাড়া ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল সেই সাথে প্রতিযোগিতাও বেশি। মার্কেটপ্লেসের অবস্থার উপর নির্ভর করে আপনার স্ট্র্যাটেজিক মুভ করতে হবে। তা না হলে আপনি হারিয়ে যাবেন।
কাজের নৈতিকতা এবং দলগত কাজ
যেকোন প্রফেশনালদের জন্য ওয়ার্ক ইথিক্স অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার কাজে স্বচ্ছতা না থাকে তাহলে আপনি কখনো সফল হবেন না। সেই সাথে দলগত কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। এখন আপনার প্রশ্ন হতে পারে আপনি তো একাই কাজ করছেন এখানে টিম ওয়ার্ক আসে কিভাবে? আসলে বায়ার আপনাকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেয় ঠিকই কিন্তু আপনি যদি তার টিম মেম্বারের মত আচরণ করেন সেক্ষেত্রে কাজটা অনেক বেশি সহজতর হয়। ক্লায়েন্ট এবং আপনার মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি কম হয়। আপনার মন মানসিকতার উপরে আসলে অনেক কিছুই নির্ভর করে।
পেশাদারিত্ব
কোর্ট-টাই-স্যুট নয়, বরং প্রফেশনালিজম বা পেশাদারিত্ব আনতে হবে আপনার কাজের পদ্ধতিতে। একজন পেশাদার হিসেবে নিজেকে উপস্থিত করতে হবে। তা ক্লায়েন্ট মিটিং হোক বা প্রজেক্ট ডেলিভারির সময় হোক আপনাকে আপনার আচারব্যবহার এবং কাজ দুই ক্ষেত্রেই সঠিকভাবে পেশাদারিত্ব মেনে চলতে হবে। আপনার ড্রেসআপ, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ও আপনার টোন- সব কিছুর উপরই আপনার পেশাদারিত্বের ছাপ ফুটিয়ে তুলতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।