বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প বর্তমানে পরিবর্তনে ভরা একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে। নতুন ধারণা ও প্রযুক্তি বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে ভিন্নতা আনতে সক্ষম হচ্ছে। কিন্তু তাতেও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা প্রযুক্তির উন্নয়নের ধারাকে ধীর করে দিচ্ছে। রাষ্ট্রীয় নীতি, অবকাঠামো এবং রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে এই খাত অনেকটা সমালোচনার মুখে পড়েছে। স্থানীয় উদ্যোগের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে বিলম্বিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় মুণ্ডিত হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
Table of Contents
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প: পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিকম খাতের সম্মিলিত বাজারমূল্য বর্তমান ১৮.৭ বিলিয়ন ডলার, যা সাড়া বিশ্বে গুরুত্ব পাচ্ছে। এখানের সফটওয়্যার রফতানি, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রতি আস্থা জনিত চাপ রয়েছে।
জানা গেছে, সফটওয়্যার শিল্পে ১.৯ বিলিয়ন ডলারের আয় এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ে ১.৩ বিলিয়ন ডলারের আয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কিন্তু ক্ষেত্রে বিশেষ চ্যালেঞ্জ গুলো থাকায় ব্যবসাগুলো স্থিতিশীলতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
- অবকাঠামোগত বাধাহীনতা: সরকারি নীতির ক্ষেত্রে অসংগতি থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
- নীতিগত দুর্বলতা: বিটিআরসির হাতে থাকা তথ্যসেবা ও নীতির মধ্যেও স্থানীয় প্রতিযোগিতা এবং কার্যক্রমগুলোর মধ্যে বৈষম্য প্রচলিত রয়েছে।
শিল্প বিশেষজ্ঞদের অভিমত
১৯৯১ সালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান নতুন কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু, বর্তমান সময়ে প্রয়োজনীয় বহিরাগত বিনিয়োগ ও সরকারি ইনকিউবেশন কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। LightCastle-এর গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের মাত্র ৮% স্টার্টআপ সরকারি প্রকল্প থেকে ফান্ড পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করতে হলে সরকারের বিনিয়োগের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের উন্নতির জন্যও উদ্যোগ প্রয়োজন।
এআই ও বিগ ডেটা শিল্পেও বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও সরকারী সহায়তার অভাব এই খাতকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে পারছে না। প্রতিবছর এআই স্টার্টআপের সংখ্যা ৩৫% বেড়ে যাওয়ার তথ্য থাকলেও নথিভুক্ত ফান্ডিং হয়নি।
ভার্চুয়াল ব্যাংকিং সেক্টরেও কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বিশেষ করে ‘আমার পে’ ও Qcoom-এর মতো ক্ষেত্রে গ্রাহক নিঃস্বার্থতায় আস্থা হারাচ্ছে। এরপরও দরকারি পদক্ষেপগুলোর বাস্তবায়ণ হতে পারছে না।
মূল ধারা থেকে বাইরে বের হয়ে এসেও, প্রযুক্তি খাতের প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হতে পারে। সরকারের অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তিগুলো গড়ে তোলার জন্য আমরা বিভিন্ন দিশা প্রস্তুত করছি। যদি এই খাতে সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলো যথাযথভাবে মোকাবেলা করা যায়, তবে সামনের ৫ বছরে বাংলাদেশ হতে পারে দেশের সবচেয়ে বড় রফতানি আয়ের উৎস।
প্রতিবেশী অঞ্চলে স্বাস্থ্য বিষয়ক উদ্যোগগুলো
নিজস্ব উদ্যোগের দিকেও দৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় সঠিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নানান উদ্ভাবনীত্ব নিয়ে আসছে। যেমন, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা সম্মুখীন স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করতে নতুন প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে চাইছে।
বাংলাদেশের সঙ্গীদেশের সঙ্গে সহযোগিতা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সাথে যোগাযোগ রাখা জরুরি। এই উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন সম্ভাব্যতাগুলো সতর্কতার সঙ্গে সঙ্গে আত্মসাৎ করা হলে সরকারের উৎসাহ বাড়বে এবং বাজারে গড়ে ওঠা সম্ভাবনার ব্যাপে দৃঢ় রাখতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাত এখন একটি ‘ক্রসরোডে’ দাঁড়িয়ে। সঠিক সিদ্ধান্ত ও নীতিগত স্বচ্ছতা পরিচালনা করা গেলে আগামী কয়েক বছরে প্রযুক্তির দিকে বাংলাদেশ সার্বিকভাবে এগিয়ে যেতে পারবে।
হুয়াওয়ে’র প্রথম পিসি উন্মোচন: প্রযুক্তির নতুন দিগন্তের সূচনা
FAQs
- বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতের বর্তমান পরিস্থিতি কেমন?
- বর্তমানে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বাজার মূল্য ১৮.৭ বিলিয়ন ডলার এবং জুন ২০২৫ এর মধ্যে আরও বৃদ্ধি প্রত্যাশিত।
- আইটি খাতে সরকারি সহায়তার অভাব কেন?
- সরকারি ইনকিউবেটর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে এবং মাত্র ৮% স্টার্টআপ সরকারি প্রকল্প থেকে বিনিয়োগ পেয়েছে।
- বর্তমানে কোন কোন খাতের সম্ভাবনা ভালো?
- সফটওয়্যার রফতানি, ফ্রিল্যান্সিং এবং মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট খাতগুলোর ভবিষ্যৎ অনুকূল।
- সাধারণ উদ্যোগের জন্য সরকারের করণীয় কী?
- নীতিগত স্বচ্ছতা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ট্যালেন্ট উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে হবে।
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি খাত কেমন হবে?
- সমস্যাগুলো দারুণভাবে মোকাবেলা করতে পারলে এই খাত হতে পারে দেশের সবচেয়ে বড় রফতানি আয়ের উৎস।
- বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের জন্য বিশ্বস্ত সূত্র কোনটি?
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের জন্য একটি বিশ্বস্ত স্টেটমেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে।
Disclaimer: This article is intended for informational purposes only and should not be construed as professional advice. Content accuracy is checked to the best of our ability but is subject to change. Always verify directly with official sources.
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।