গত ২১ বছরে (২০০৫-২০২৫) বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ২৬টি বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এর বেশির ভাগই প্রশিক্ষণ চলাকালে দুর্ঘটনার শিকার। তবে সর্বশেষ সোমবার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে রাজধানীর দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দোতলা একটি ভবনে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই বিমান দুর্ঘটনাটি সবচেয়ে ভয়াবহ বলে মনে করা হচ্ছে। আইএসপিআরের তথ্যমতে, দিয়াবাড়ির এই দুর্ঘটনায় বিমানের পাইলটসহ অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ১৭১ জন। আহতের মধ্যে অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
বিমান দুর্ঘটনার মধ্যে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় ২০২৪ সালের ৯ মে ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাটি ছিল অন্যতম বড় দুর্ঘটনা। সেখানে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ নিহত হন। এছাড়া ২০১৮ সালের ২৩ নভেম্বর এফ-৭ বিজি যুদ্ধবিমান টাঙ্গাইলে রকেট ফায়ারিং অনুশীলনের সময় বিধ্বস্ত হয়। সে সময় পাইলটও নিহত হন। ২০১৮ সালের ১ জুলাই কে-৮ ডব্লিউ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হলে সেখানে দুজন পাইলটই নিহত হন। ওই বছর ২ জানুয়ারি মিল এমআই-১৭ হেলিকপ্টার শ্রীমঙ্গলে বিধ্বস্ত হয়। আগের বছর ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর দুটি ইয়াক-১৩০ কক্সবাজারে বিধ্বস্ত হয়। ১১ জুলাই ইয়াক-১৩০ চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। তবে সে সময় পাইলটরা ইজেক্ট করতে সক্ষম হয়। ২০১৫ সালের ২১ জুলাই এমআই-১৭১ এসএইচ হেলিকপ্টার মিরসরাইয়ে জরুরি অবতরণের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০১৫ সালের ২৯ জুন এফ-৭ এমবি যুদ্ধবিমান পতেঙ্গা উপকূলে বিধ্বস্ত হয়। ১৩ মে এমআই-১৭১ এসএইচ হেলিকপ্টার শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। আগের বছর ২০১৪ সালে ৩০ এপ্রিল পিটি-৬ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি পিটি-৬ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। ২০১৩ সালের ২০ মে এল-৩৯ প্রশিক্ষণ বিমান যশোরে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। ১৪ জুলাই ন্যাঞ্ছাং এ-৫ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। ২০১২ সালের ৮ এপ্রিল এল-৩৯ অ্যালবাট্রস জেট ট্রেনার মধুপুরে বিধ্বস্ত হয়।
এছাড়া ২০১০ সালের ২০ ডিসেম্বর পিটি-৬ প্রশিক্ষণ বিমান বরিশালে বিধ্বস্ত হয়ে দুই স্কোয়াড্রন লিডার নিহত হয়। এফ-৭ এমবি যুদ্ধবিমান পতেঙ্গায় বিধ্বস্ত হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর পিটি-৬ প্রশিক্ষণ বিমান, কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হয়। ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর পিটি-৬ ট্রেনার বিমান বগুড়া সদরে বিধ্বস্ত হয়। ১৬ জুন এফটি-৬ যুদ্ধবিমান চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে বিধ্বস্ত হয়। ২০০৮ সালের ৮ এপ্রিল এফ-৭ এমবি যুদ্ধবিমান টাঙ্গাইলের পাহাড়িয়া গ্রামে বিধ্বস্ত হয়। সে সময় স্কোয়াড্রন লিডার মোরশেদ নিহত হন। ২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল পিটি-৬ ট্রেনিং বিমান যশোরে বিধ্বস্ত হয়। তখন ফ্লাইট ক্যাডেট ফয়সাল মাহমুদের নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। ২০০৬ সালের ২৪ এপ্রিল পিটি-৬ কোটচাঁদপুর ঝিনাইদহে বিধ্বস্ত হয়ে ফ্লাইট ক্যাডেট তানজুল ইসলাম নিহত হয়। ২০০৫ সালের ৭ জুন এফ-৭ এমবি যুদ্ধবিমান উত্তরায় বহুতল ভবনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি পিটি-৬ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।