বাংলাদেশে সোনা কেবল অলংকার নয়, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ মাধ্যমও। বিশ্ববাজারের ২২ ক্যারেটসহ অন্যান্য স্বর্ণের দাম ওঠানামা থাকলেও, বাংলাদেশে স্বর্ণ নিরাপদ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়।
২২ ক্যারেট ও অন্যান্য সোনার দাম, মার্চ ০৭, ২০২৫
ক্যারেট | দাম (টাকা/গ্রাম) | দাম (টাকা/ভরি) |
---|---|---|
২৪ ক্যারেট স্বর্ণ | ১৩,৬৫০ | ১,৬৫,০০০ |
২২ ক্যারেট স্বর্ণ | ১৩,০২৩ | ১,৫১,৯০০ |
২১ ক্যারেট স্বর্ণ | ১২,৪৩১ | ১,৪৪,৯৯৫ |
১৮ ক্যারেট স্বর্ণ | ১০,৬৫৫ | ১,২৪,২৮০ |
সনাতন স্বর্ণ | ৮,৭৭৭ | ১,০২,৩৭৫ |
ভারতে সোনার দামের বর্তমান অবস্থা (০৭ মার্চ ২০২৫)
ক্যারেট | দাম (রুপি/গ্রাম) | দাম (রুপি/১০ গ্রাম) |
২৪ ক্যারেট স্বর্ণ | ৫,৮৬৮ | ৫৮,৬৮০ |
২২ ক্যারেট স্বর্ণ | ৫,৮৬৮ | ৫৮,৬৮০ |
১৮ ক্যারেট স্বর্ণ | ৬,৫৬২ | ৬৫,৬২০ |
বাংলাদেশে স্বর্ণের দামের ওঠানামার কারণ
- আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব – বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়লে বাংলাদেশেও তা বাড়ে।
- মুদ্রাস্ফীতি – মুদ্রাস্ফীতি বাড়লে স্বর্ণের দাম বেড়ে যায়।
- ডলারের বিনিময় হার – ডলার শক্তিশালী হলে স্বর্ণের দাম বাড়তে পারে।
- সরকারি নীতিমালা – আমদানি শুল্ক, ভ্যাট এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির প্রভাব রয়েছে।
- বিনিয়োগ ও চাহিদা – বিয়ের মৌসুম ও উৎসবে স্বর্ণের চাহিদা বাড়লে দামও বাড়ে।
বাংলাদেশে স্বর্ণ কেনার সঠিক সময়
✔️ বাজার স্থিতিশীল থাকলে – দাম স্থিতিশীল থাকলে বিনিয়োগ লাভজনক।
✔️ বিয়ের মৌসুমের আগে – দাম কম থাকার সময় কেনা ভালো।
✔️ রমজান ও ঈদের আগে – চাহিদা বেড়ে যায়, তাই আগেই কেনা উপযুক্ত।
✔️ আন্তর্জাতিক বাজার কমলে – বিশ্ববাজারে দাম কমলে বাংলাদেশেও কমে।
বাংলাদেশে সোনার বিনিয়োগের জনপ্রিয় পদ্ধতি
✅ সোনার বার ও কয়েন – বিশুদ্ধতার নিশ্চয়তার জন্য অনুমোদিত বিক্রেতাদের কাছ থেকে কিনুন।
✅ গহনা – সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে জনপ্রিয়।
✅ ডিজিটাল স্বর্ণ – বাংলাদেশে এখনো জনপ্রিয় না হলেও ভবিষ্যতে সম্ভাবনাময়।
বাংলাদেশে স্বর্ণ কেনার নিরাপদ স্থান
📍 ঢাকা: গুলিস্তান, বসুন্ধরা সিটি, নিউ মার্কেট
📍 চট্টগ্রাম: আগ্রাবাদ, রিয়াজউদ্দিন বাজার
📍 সিলেট: লালা বাজার, মিরাবাজার
📍 খুলনা: নিউ মার্কেট, শিববাড়ি
বাংলাদেশে সোনা বিক্রির সেরা উপায়
✔️ সরকার অনুমোদিত দোকানে বিক্রি করুন – BSTI হলমার্কযুক্ত স্বর্ণ হলে ভালো দাম পাবেন।
✔️ ব্যাংকের মাধ্যমে বিক্রি করুন – কিছু ব্যাংক স্বর্ণ কেনে যা নিরাপদ বিকল্প।
✔️ বাজার পরিস্থিতি বুঝে বিক্রি করুন – দাম বাড়লে বিক্রি করলে বেশি মুনাফা পাওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশ ও ভারতের সোনা বাজার: সাধারণ প্রশ্নোত্তর
বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম কীভাবে নির্ধারিত হয়?
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (BAJUS) আন্তর্জাতিক বাজারের উপর ভিত্তি করে প্রতিদিন স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে।
ভারতে স্বর্ণের দাম কীভাবে নির্ধারিত হয়?
ইন্ডিয়া বুলিয়ন অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (IBJA) আন্তর্জাতিক বাজার ও স্থানীয় চাহিদার উপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারণ করে।
২৪ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনার মধ্যে পার্থক্য কী?
✅ ২৪ ক্যারেট স্বর্ণ – ৯৯.৯৯% বিশুদ্ধ, নরম হওয়ায় অলংকারে কম ব্যবহৃত হয়।
✅ ২২ ক্যারেট স্বর্ণ – ৯১.৬% বিশুদ্ধ, গহনার জন্য উপযুক্ত।
বাংলাদেশে স্বর্ণের বিশুদ্ধতা কিভাবে যাচাই করা হয়?
BSTI (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন) অনুমোদিত হলমার্কযুক্ত স্বর্ণই বিশুদ্ধ বলে বিবেচিত হয়।
ভারতে স্বর্ণের বিশুদ্ধতা কীভাবে যাচাই করা হয়?
ভারতে BIS (Bureau of Indian Standards) হলমার্কযুক্ত স্বর্ণ সবচেয়ে বিশুদ্ধ বলে গণ্য হয়।
বাংলাদেশে সোনা কেনার সময় কর কত দিতে হয়?
বাংলাদেশে স্বর্ণ কিনলে ৫% ভ্যাট প্রযোজ্য।
ভারতে স্বর্ণ কেনার সময় কর কত দিতে হয়?
ভারতে স্বর্ণ কেনার সময় ৩% GST (Goods and Services Tax) দিতে হয়।
সোনার দাম কেন প্রতিদিন পরিবর্তিত হয়?
আন্তর্জাতিক বাজার, আমদানি শুল্ক, মুদ্রাস্ফীতি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি, এবং বিনিয়োগকারীদের চাহিদার ভিত্তিতে প্রতিদিন দাম পরিবর্তিত হয়।
স্বর্ণ বিনিয়োগ কি লাভজনক?
হ্যাঁ, এটি দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক হতে পারে কারণ এটি মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয় এবং সময়ের সাথে সাথে এর দাম বৃদ্ধি পায়।
বাংলাদেশে সোনা বিনিয়োগের বিকল্প কী কী?
✅ সোনার বার ও কয়েন
✅ গহনা
✅ ডিজিটাল গোল্ড (ভবিষ্যতে সম্ভাবনাময়)
সোনার বাজারের ভবিষ্যৎ প্রবণতা
বাংলাদেশ ও ভারতের ২২ ক্যারেট ও অন্যান্য সোনার দাম বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতা, মার্কিন ডলারের বিনিময় হার, মুদ্রাস্ফীতি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির উপর নির্ভর করে। ভবিষ্যতে স্বর্ণের দাম আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।