থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুড়িগাতী গ্রাম থেকে ২২ সেপ্টেম্বর রেশমা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রেশমা মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। তিনি গোবিন্দপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলামের স্ত্রী। পাঁচ বছর আগে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বখে যাওয়া রেশমা একাধিক পুরুষের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। অবাধ্য স্ত্রীকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়ে এবং মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় ফরিদুলের পরিকল্পনায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। মাদকাসক্ত ফরিদুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২ অক্টোবর খুন হয়েছে স্বপ্না খাতুন নামে এক গৃহবধূ। তিনি চালাপাড়া গ্রামের বাহেচ আলীর স্ত্রী। মাদকাসক্ত স্বামী তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছোট ভাইকে ফাঁসানোর কৌশল হিসেবে স্ত্রীকে খুন করেছে বাহেচ আলী। আদালতে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করলে পুলিশ বাহেচ আলীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, ১৫ অক্টোবর রেহেনা খাতুন নামে এক নববধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে তার স্বামী আলিফ হাসান। মাত্র দুই মাস আগে আলিফ হাসান পারিবারিকভাবে রেহেনাকে বিয়ে করেছিলেন। আলিফ হাসান উপজেলার রাঙ্গামাটি গ্রামের মঞ্জুরুল হকের ছেলে। পরকীয়ায় জড়িত থাকার সন্দেহ এবং মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় আলিফ হাসান ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রীকে খুন করেছেন। আদালতে এমন জবানবন্দি দিলে পুলিশ আলিফ হাসানকে কারাগারে পাঠায়।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, সবকটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উৎঘাটনসহ আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব ঘটনা প্রতিরোধে নানামূখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ গ্রামভিত্তিক মতবিনিময় ও উঠান বৈঠক করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।