২৪ হাজার বছর পর ঘুম ভাঙলো এক প্রাণীর। এত লম্বা সময় ধরে এ প্রাণীটি জীবন ও মৃত্যুর মধ্যবর্তী দশা ছিল। গবেষকদের চমকে দিয়ে ২৪ হাজার বছর পর জেগে উঠেছে এ প্রাণী। কী সেই প্রাণীর নাম? কীভাবে বা এত দীর্ঘ সময় পর জেগে উঠলো প্রাণীটি?
রূপকথার গল্পে এরকম অনেক প্রাণী রয়েছে যাদের বহু বছর পর ঘুম ভাঙ্গার কাহিনি রয়েছে। এ ধরনের গল্প আমরা ছোটবেলা থেকে শুনতে অভ্যস্ত। বাস্তবে একটি কচ্ছপ তিন থেকে চার বছর ঘুমিয়ে কাটায়। তাছাড়া সাপ ও ব্যাঙের ঘুমের কথা সবারই জানা।
তাছাড়া কিছু মাছ ঘুমিয়ে কাটাতে পারে বহু বছর। কিন্তু তাই বলে টানা ২৪ হাজার বছর একটানা ঘুমের কথা কেউ কল্পনা করতে পারে না। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও এটা সত্যি। অবিশ্বাস্য হলেও সাম্প্রতিক সময়ে উত্তরে সাইবেরিয়ার আলোচিয়া নদীর কাছে নমুনা সংগ্রহ করে এ প্রাণীর হদিস পান বিজ্ঞানীরা।
এ জীবটি আসলে আণুবীক্ষণিক জীব। এর দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ আধা মিলিমিটার হতে পারে। ১৬৯৬ সালে প্রথম এ প্রাণীর অস্তিত্ব খুঁজে পান বিজ্ঞানীরা। মূলত সাধু পানিতে এ প্রাণীটির দেখা মিলে। তাদের মুখের কাছে চাকার মত অংশ রয়েছে।
এ বিশেষ জীবের ব্যতিক্রমী ক্ষমতা রয়েছে। তারা নিজের দেহের সমস্ত জৈবিক ক্রিয়া বন্ধ করে দিতে পারে। এরপর নিজের মত বসবাস করে। এর আগে এ প্রাণীটি দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমিয়ে থাকার প্রমাণ বিজ্ঞানীরা পেয়েছিলেন।
হিমাঙ্কের ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে এক দশক ধরে প্রাণীটি জীবিত ছিল। এ প্রাণীটি নিজের ঘুমের সকলে রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেছে এবার। গবেষকরা দেখেছেন যে, তার ঘুমের বয়স ২৪ হাজার বছর হবে। স্বাভাবিকভাবেই জীবটির বয়স অনেক বেশি হবে। এরা অযৌন পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করতে সক্ষম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।