আবরার আবদুল্লাহ : ইবরাহিম তাসদেমির। তুরস্কের ইজমির প্রদেশের ঐতিহাসিক ‘ঈসা বে’ মসজিদের ইমাম। মসজিদটি পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। দেশি-বিদেশি পর্যটক প্রায় পরিদর্শন করে মসজিদটি।
আর সেই সুযোগে পর্যটকদের ইসলামের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চান ইমাম ইবরাহিম তাসদেমির। তিনি পর্যটকদের হাতে তুলে দেন একটি নোট। যাতে ইসলাম ও ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। নোটটি প্রস্তুত করা হয়েছে তুর্কি, পর্তুগিজ, ইংলিশসহ ২৫টি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায়।
ইবরাহিম তাসদেমির সাত বছর আগে ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান। নিয়োগ পাওয়ার পর বিভিন্ন ভাষা, ধর্ম ও বর্ণের পর্যটকদের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তাঁর আতিথেয়তা শুরু হয় চকলেট ও সুগন্ধি দিয়ে। যা অতিথিদের সম্মান জানানোর ঐতিহ্যবাহী তুর্কি রীতি। এরপর কূশল বিনিময় শেষ করে তাঁর নোটটি পর্যটকের হাতে তুলে দেন। তাঁর নোটে অন্যান্য ধর্ম বিষয়ে কোরআন ও সুন্নাহর বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। এরপর ইবরাহিম তাসদেমির একটি বুক শেলফের কাছে নিয়ে যান, যেখানে ২০ ভাষায় অনূদিত কোরআন রাখা হয়েছে। তিনি পর্যটকদের শুধু ইসলাম বিষয়ক নোট উপহার দেন না; বরং তারা যে ধর্মের অনুসারী সে ধর্মের গ্রন্থও উপহার দেন।
পর্যটকদের মধ্যে যারা আরো কিছু শিখতে চান, তিনি তাদেরকে মসজিদের সামনের একটি ঝরনার কাছে নিয়ে যান। তাদের অজু করিয়ে দেখান এবং নামাজ কিভাবে আদায় করে তাও দেখিয়ে দেন। পর্যটকরা যখন দেশে ফিরে তাসদেমিরের কাজের প্রশংসা করে চিটি লেখেন, তখন তাঁর মনে হয় তাঁর প্রচেষ্টা সফল। তুর্কি গণমাধ্যম আনাদুলু এজেন্সিকে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের দেখাতে চাই ইসলাম কতটা সুন্দর। আমি ডাচ ও ইংলিশ ভাষায় কথা বলতে পারি। কারো মাতৃভাষায় কথা বলা হলে সে কতটা খুশি হয় তা লক্ষ্য করার মতো। তারা বিস্মিত হয় যখন একজন ইমাম তাদের মাতৃভাষায় কথা বলে। তারা যখন সন্তুষ্টি প্রকাশ করে, তখন আমি তাদের হাতে নোট তুলে দিই। ’
তিনি আরো জানান, অনেকে ঠিকানা নিয়ে যান এবং তাঁকে চিঠি লেখেন। এমনকি অনেকে জানায় তারা ইসলাম গ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত পর্যটকদের হাতে ২৬ হাজার কোরআনের অনুলিপি তুলে দিয়েছেন তিনি।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।