ওই ছাত্রী উপজেলার পাগলা থানার উস্থি ইউনিয়নের দাইরগাঁও দাখিল মাদরাসার জেডিসি পরীক্ষার্থী। আজ এই পরীক্ষা শুরু হলেও শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় সে পরীক্ষা দিতে পারছে না। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ অক্টোবর দাইরগাঁও গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে বিপ্লব মেকার (৩৫), পাশের কলুরগাঁও গ্রামের হেলাল উদ্দিন শেখের ছেলে শারফুল (২৬) এবং মুর্শিদ খানের ছেলে ওয়াসির খান (২৮) ওই ছাত্রীকে বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। তাকে না পেয়ে পরিবার তখন পাগলা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করে। গতকাল ভোরে তাকে দাইরগাঁও মাদরাসার সামনের রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা। মসজিদে নামাজ পড়তে আসা লোকজন তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে তাকে বাড়ি নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর দরিদ্র বাবা বলেন, ‘তিন শয়তান আমার মায়ার জীবনডা ধ্বংস কইরা দিছে। আল্লা গো, আমি কই বিচার পাইবাম? আমি উপযুক্ত বিচার চাই।’
উস্থি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তোতা বলেন, ‘এটা একটা মধ্যযুগীয় বর্বরতা। এর কঠোর বিচার হওয়া দরকার।’
পাগলা থানার ওসি শাহিনুজ্জামান খান বলেন, ‘এ ঘটনায় দ্রুত মামলা নেওয়া হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের ধরার জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।