জুমবাংলা ডেস্ক : ব্রিটিশ শাসন আমলের জন্ম নেয়া একটি তিমি আজও সমুদ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে দাবি করছেন একদল বিজ্ঞানী। তাদের দাবি, পৃথিবীর কোনো সমুদ্রে হয়তো পাওয়া যেতে পারে ২৬৮ বছর বয়সের কোনো তিমি। সম্প্রতি একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, বেশ কিছু প্রাণী যতদিন বাঁচার কথা তার থেকেও বেশি দিন বাঁচে। সেই গবেষণাতেই বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, বোহেড (ধনুকের মতো মাথা) তিমিরা প্রায় ২৬৮ বছর বাঁচতে পারে। বোহেড তিমিরা আর্কটিক এলাকায় বসবাস করে।
এখন পর্যন্ত যদিও ১৭৫১ সালের কোনো তিমি খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ২০০৭ সালে একটি তিমি পাওয়া যায় যেটির বয়স ছিল ২০০ বছর। এছাড়াও একটি বোহেড তিমি পাওয়া যায়, যেটির বয়স ছিল ২১১ বছর। তার চোখের জলের অ্যামাইনো অ্যাসিড থেকে বয়স নির্ণয় করা হয়।
অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানী জেনেটিক ‘ক্লক’ ব্যবহার করে হিসেব করে দেখেছেন, যে তিমিটির বয়স ২১১ বছর ছিল, সেটি আরো অন্তত ৬০ বছর বাঁচতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় কমনওয়েল্থ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন মেনে জানিয়েছেন, ৪২টি জিন ও একটি রাসায়নিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে এই বয়স নির্ণয়ের কাজে, যাকে বলা হয় মিথিলেশন। এই পদ্ধতিতে কোনো প্রাণীর জীবনকাল কত হতে পারে তা নির্ণয় করা যায়। সেখানেই তারা দেখেছেন একটি বোহেড তিমি প্রায় ২৬৮ বছর বাঁচতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।