জুমবাংলা ডেস্ক : নিখোঁজের ২৭ দিন পর মায়ের মর দে হ পেলেন মরিয়ম মান্নান। ময়ময়মনসিংহের ফুলপুরে পাওয়া গেছে তার মায়ের লাশ। গত ১০ সেপ্টেম্বর দুপুরে ময়মনসিংহ ফুলপুর উপজেলার ১০ নং বওলা ইউনিয়নের বওলা গ্রামে একটি কবরস্থানের ঝোপের ভিতর হলুদ বস্তাবন্দি অজ্ঞাত না রী র অর্ধ গ লিত ম র দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিভিন্ন সূত্র মতে এই অজ্ঞাত নারী মরিয়ম মান্নানের মা।
তবে লাশ অফিসিয়ালি হাতে পাওয়ার পর সব খুলে বলবেন বলে জানিয়েছেন মরিয়ম।
নিজের এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিয়ে মরিয়ম লিখেছেন, ‘ময়মনসিংহ,ফুলপুর যাচ্ছি। আমার হতভাগিনী মা’য়ের পঁচা গলা লাশ অফিসিয়ালি বুঝে নিতে। আমার সাংবাদিক ভাইবোন এবং আমার বন্ধু, আমার শুভাকাঙ্খীদের সাথে কথা বলবো এবং প্রশাসনিক সকলের সকল প্রশ্নের উত্তর আমি দিবো আমার মায়ের লাশ অফিসিয়ালি আমার হাতে পাওয়ার পরে। কিভাবে আমার মায়ে’র লাশ আমি খুঁজে পেলাম সেই গল্পও আপনাদের শুনাবো, একটু সময় আমাকে দয়াকরে দিন। আমার মায়ের চুল, আমার মায়ের কপাল, আমার মায়ের হাত আমি চিনবো নাতো কে চিনবে!’
এদিকে গেলাম মোস্তফা নামের একজনের ‘অজ্ঞাত লাশের পরিচয় পেতে সহায়তা করুন’ লেখা একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বরে ফুলপুর থানার ওসি মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুনের বরাতে ওই পোস্টে লেখা ‘অজ্ঞাত লাশের পরিচয় পেতে সহায়তা করুন, গত ১০ সেপ্টেম্বর দুপুরে ময়মনসিংহ ফুলপুর উপজেলার ১০ নং বওলা ইউনিয়নের বওলা গ্রামে একটি কবরস্থানের ঝোপের ভিতর হলুদ বস্তাবন্দি অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ এখনো পর্যন্ত লাশ সনাক্ত করা যায়নি। মর দে হ সনাক্তের সর্বোচ্চ চেস্টা করা হচ্ছে। লা শে র পড়নে, ছবিতে দেওয়া কাপড়গুলো পাওয়া যায়। যদি কেউ কোন তথ্য পান, জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। তথ্য প্রদানকারীর নাম গোপন রাখা হবে।
ধন্যবাদান্তে,
মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন,
ওসি,ফুলপুর থানা, ময়মনসিংহ। ’
এর আগে, দীর্ঘ ২৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর মায়ের লাশ পান মরিয়ম মান্নান। নিজেই এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আমি আমার মায়ের লাশ পেয়েছি এই মাত্র। ‘ পরে রাত ১২টার দিকে আরেক স্ট্যাটাসে মরিয়ম লিখেছেন, আর কারো কাছে আমি যাবো নাহ!কেউকে আর বলবো নাহ আমার মা কোথায়!কেউকে বলবো নাহ আমাকে একটু সহোযোগিতা করুন!কেউকে বলবো নাহ আমার মাকে একটু খুঁজে দিবেন!কেউকে আর বিরক্ত করবো নাহ!আমি আমার মা’কে পেয়ে গেছি!
এর আগে মায়ের নিখোঁজ হওয়া প্রসঙ্গে মরিয়ম বলেছিলেন, গত ২৭শে আগস্ট রাত থেকে আমার মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঐ দিন রাত ১০টায় বা তার একটু পরে আমার মা বাসার নিচে পানির টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে যায়। ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে মা ফিরে আসে না। এরপর মাকে খোঁজা শুরু করে সবাই। মায়ের পায়ের জুতা, গায়ের ওড়না, পানির পাত্র পড়ে ছিল কিন্তু সেখানে আমার মা ছিল না। আমরা ধারণা করছি, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আমার মাকে অপহরণ করা হতে পারে।
আমার মা রহিমা বেগম ও তার দ্বিতীয় স্বামী মো. বিল্লাল হাওলাদারকে নিয়ে তাদের খুলনার দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশা খানাবাড়ি হোল্ডিং নং-৩৫ এর দ্বিতীয় তলায় বসবাস করতেন। আমরা ছয় ভাইবোন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে তাকে না পেয়ে দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার। পরেরদিন ২৮ আগস্ট অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আদুরী খাতুন দৌলতপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। যার নং ১৫।
দৌলতপুর থানা পুলিশ ইতিমধ্যে সন্দেহভাজন ৫ জনকে আটক করে রিমান্ডে এনেছে। নিখোঁজ রহিমা বেগমের পরিবারের একটি সূত্র জানায়, এক বছর পূর্বে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হাতে হামলার শিকার হন রহিমা বেগম এবং তার এক কন্যা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।