জুমবাংলা ডেস্ক : খুলনার দৌলতপুরের বণিকপাড়া থেকে নিখোঁজ রহিমা খাতুনকে (৫২) জীবিত অবস্থায় ফরিদপুরের বোয়ালমারী ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের ২৮ দিন পর শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
রহিমা খাতুন কীভাবে কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে গেলেন, এতদিন কোথায় ছিলেন— এ নিয়ে সবার মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা চলছে। এসব বিষয়ে রহিমাকে উদ্ধারকারী টিমের নেতৃত্ব দেওয়া দৌলতপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেছেন গণমাধ্যম।
সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুর রহমান বলেন, ‘২৮ বছর আগে খুলনার সোনালী জুট মিলে চাকরি করতেন কুদ্দুস মোল্লা। তখন তিনি পরিবার নিয়ে রহিমার বাসায় ভাড়া থাকতেন। ওই সময় রহিমার পরিবারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে কুদ্দুসের পরিবারের। কয়েক বছর আগে কুদ্দুস পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে আসেন। তাদের মধ্যে মাঝেমধ্যে যোগাযোগ হতো। সম্প্রতি পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে রহিমার সঙ্গে স্বামীর কলহ চলছিল। এ নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আত্মগোপন করেন রহিমা। নিখোঁজের পর কয়েকবার স্থান পরিবর্তন করেছেন। এজন্য তার লোকেশন শনাক্ত করতে বেগ পেতে হয়েছে আমাদের। গত ১৭ সেপ্টেম্বর কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে যান। এরপর থেকে সেখানে ছিলেন তিনি।’
কীভাবে পুলিশ তার সন্ধান পেয়েছে জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘নিখোঁজের পর থেকেই তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারির ভিত্তিতে আমরা তার সন্ধান বের করার চেষ্টা করছিলাম। এরই মধ্যে ময়মনসিংহের ফুলপুরে অজ্ঞাত এক নারীর লাশকে নিজের মায়ের দাবি করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে দেয় তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান। তবে আমরা গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রেখেছিলাম। সেইসঙ্গে নিখোঁজের আগে রহিমার সঙ্গে যাদের মোবাইলে যোগাযোগ হয়েছিল, তাদের মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিং করে লোকেশন শনাক্তের চেষ্টা করেছি। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গোয়েন্দা সংস্থা থেকে আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি, কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে অবস্থান করছেন রহিমা। এরই ভিত্তিতে ওই বাড়িতে গিয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দেবো আমরা। এখন খুলনা থানা পুলিশের হেফাজতে আছেন রহিমা।’
তিনি বলেন, ‘মূলত পারিবারিক কলহের কারণে রহিমা আত্মগোপন করেছিলেন। পুরো বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপর আদালতে তোলা হবে। কারণ তাকে উদ্ধারের বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা আছে। নিখোঁজের মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল ওহাব বলেন, ‘শনিবার রাতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে রহিমাকে উদ্ধার করেছে। ওই সময় কুদ্দুস মোল্লা বাড়িতে ছিলেন। রহিমার বিষয়ে তার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছে পুলিশ। এরপর রহিমাকে খুলনায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।