জুমবাংলা ডেস্ক : যশোরের চৌগাছা থানার এক উপ-পরিদর্শককে তিন কেজি গাঁজাসহ আটকের পর রিমান্ডে নিয়েছে কেশবপুর পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ জুন) যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম শুনানি শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে একদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। এছাড়া এ ঘটনায় আটক পুলিশ কর্মকর্তার সহযোগী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার (১৫ জুন) কেশবপুর উপজেলার ভাল্লুকঘর পালপাড়া এলাকা থেকে হাসানুজ্জামান নামে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ও তার সহযোগী নাজমুল ইসলামকে আটক করে স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশ। এসময় তার অপর এক সহযোগী পালিয়ে যায়।
আটক এসআই হাসানুজ্জামান সাতক্ষীরার কলারোয়ার উপজেলার সিঙ্গা এলাকার মৃত মোফাজ্জেল সরকারের ছেলে এবং নাজমুল ইসলাম (৩০) যশোরের কেশবপুর উপজেলার চাঁদড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
যশোরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, সোমবার বিকালে ভাল্লুকঘর ক্যাম্প পুলিশ পালপাড়া মোড়ে দু’টি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। মোটরসাইকেলে চৌগাছা থানার এসআই হাসানুজ্জামান ও তার দুই সহযোগী ছিল। এসময় এক সহযোগী দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। তবে, হাসানুজ্জামান ও নাজমুল হোসেন নামে অপর এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ সদস্যরা। এসময় তাদের কাছ থেকে তিন কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সোমবারই কেশবপুর থানায় মাদকদ্রব্য আইনে তিন জনের নামে মামলা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, দুপুরে আটক এসআই হাসানুজ্জামান ও তার সহযোগী নাজমুল হোসেনকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। এসময় নাজমুল দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। তবে এসআই হাসানুজ্জামানকে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কেশবপুর থানা পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, যশোর পুলিশ অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী। অপরাধ করলে পুলিশ সদস্যরাও ছাড় পাবে না। তাকে বা তাদের আইনের মুখোমুখি হতেই হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।