জুমবাংলা ডেস্ক: ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালুর পর প্রথম তিন দিনে সোয়া লাখ ‘অবৈধ’ ফোন শনাক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, যেসব ফোন শেষ পর্যন্ত নিবন্ধন পাবে না, সেগুলো ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তিন মাস পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর পর গত শুক্রবার থেকে অবৈধ ফোন শনাক্তের ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। ঐ দিনের আগ পর্যন্ত নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়া সব ফোন ব্যবহার করতে পারছেন গ্রাহক। এক্ষেত্রে বৈধ-অবৈধ বিবেচনা করা হচ্ছে না।
বিটিআরসি জানিয়েছে, নতুন করে কোনও অবৈধ ফোন নেটওয়ার্কে যুক্ত হলে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে।
এদিকে বিটিআরসির পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন বিপণিবিতানে গিয়ে অবৈধ ফোন বিক্রি না করার বিষয়ে প্রচারণা চালায়।
কর্মকর্তারা রাজধানী ঢাকার মোতালিব প্লাজা, বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ও সীমান্ত স্কয়ারে গিয়ে বিক্রেতাদের জানিয়ে দেন যে অবৈধ ফোন বিক্রি করলে তা ফেরত দিতে হবে।
বিটিআরসি সূত্র বলছে, তাদের কাছে তথ্য আছে যে এরপরও জেনে-শুনে কেউ কেউ কম দামে পেয়ে অবৈধ ফোন কিনছে। তারা মনে করছে এগুলো একবার চালু হলে বন্ধ হবে না। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। এক পর্যায়ে বন্ধ হবে।
বিটিআরসি সূত্র জানায়, তিন দিনে নেটওয়ার্কে নতুন করে সক্রিয় হয়েছে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬৫২টি ফোন। এর মধ্যে ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৬১টির তথ্য বিটিআরসির তথ্যভান্ডারে ছিল না। এর মানে হলো, এসব ফোন হয় অবৈধভাবে আমদানি, অথবা প্রবাসীরা দেশে ফেরার সময় নিয়ে এসেছেন। প্রবাসীরা যেসব ফোন নিয়ে এসেছেন, সেসব ফোন নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
বিটিআরসির ওয়েবসাইটে গিয়ে পাসপোর্টের ভিসা/ইমিগ্রেশনের তথ্যাদি, ক্রয় রসিদ ইত্যাদি জমা দিয়ে নিবন্ধন করা যায়। বিটিআরসি জানিয়েছে, বিদেশ আনা ফোনগুলো ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত সচল থাকবে। এরপর বন্ধ হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।